<p>কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ৫ জন নিহতের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ।</p> <p>মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জ থেকে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামি কাভার্ডভ্যান চালক অনিক হোসেন (৩২)। সে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার কলসি ফুকরা এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাঝু মিঞা।</p> <p>জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর ব্রহ্মপুত্র ব্রিজের পূর্বপাশে বেনী বাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় তিন নারীসহ ৫ জন নিহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরা জেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পিরিজকান্দি এলাকার পরশ আলির ছেলে সিএনজিচালক শাহীন আলম (২৩) ও একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে রাজন মিয়া (১৭)। নিহত তিন নারীর মধ্যে আপন দুই বোন। তারা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলার জগতচর পশ্চিমগ্রাম এলাকার মৃত দুদু মিয়ার মেয়ে ছহুরা খাতুন (৭২) ও হালিমা খাতুন (৬২)। আরেক নারী তাদেরই আত্মীয় ও একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম মিয়ার স্ত্রী শাহানা বেগম (৬০)।</p> <p>এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সাজু মিঞা জানান, ১৬ ডিসেম্বর সকালে নরসিংদীর নিলকুটি থেকে একটি কাভার্ডভ্যান ভৈরবের উদ্দেশে আসছিল। এসময় অটোরিকশাও ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। কাভার্ডভ্যান দুটি যখন ভৈরবের জগন্নাথপুর ব্রিজ পার হয়, তখন অটোরিকশাটি ওভারটেক করতে গিয়ে দেখে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি গাড়ি আসছে। তখন অটোরিকশা দুই কাভার্ডভ্যানের মাঝখানে পড়ে সামনের ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এরপর পেছন থাকা অপর ভ্যানটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই পুরুষ ও তিন নারীর মৃত্যু হয়। </p> <p>ওসি বলেন, ঘটনার পর কাভার্ডভ্যান দুটি আটক করে থানায় আনা হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত সিএনজি চালক শাহীনের বাবা পরশ আলি বাদী হয়ে দুটি কাভার্ডভ্যান চালকের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অনিক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে আজ বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হবে।<br />  </p>