<p>কক্সবাজারের বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর জাকের হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহাদ হোসেন বাবুকে কক্সবাজারের চকরিয়ার সীমান্ত জনপদ আজিজ নগর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।</p> <p>মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। </p> <p>কক্সবাজারে দায়িত্বরত র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>তিনি জানান, ২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়ি টিক্কা পাড়া এলাকায় বিরতিহীন ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান জাকের হোসেন (১৯) নামের এক যুবক। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।</p> <p>কামরুজ্জামান জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে জানা যায়, ঘটনার পরপরই ঘাতকরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়। একই তথ্যের মাধ্যমে র‌্যাব জানতে পারে, ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহাদ হোসেন বাবু চকরিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p>গ্রেপ্তার হওয়া আহাদ হোসেন বাবু চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তেচ্ছি বিল এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।</p> <p>র‌্যাব সূত্র মতে, ঘেরে মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত জাকের হোসেন ও আহাদ হোসেন বাবুর মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এক বছর আগে জাকের হোসেন ঘের থেকে মাছ চুরি করে, যা আহাদ হোসেন বাবু দেখে ফেলে। পরে জাকের হোসেন বলে- এই ঘটনা জানাজানি হলে, আহাদ হোসেন বাবুকে প্রাণে মেরে ফেলবে।</p> <p>ঘটনার এক সপ্তাহ আগে তাদের মধ্যে আবার কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। ঘটনার দিন চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়ি টিক্কা পাড়া এলাকায় আহাদ হোসেন বাবু এবং তার বন্ধুরা ঘুরতে গেলে আবার তাদের দেখা হয় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে, আহাদ হোসেন বাবুর পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে জাকের হোসেনকে আঘাত করে, যা বুকে লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ঘাতকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং ছুরিকাহত জাকের হোসেনকে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।</p>