<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের চকরিয়ায় বনের জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গরুর হাট। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকায় অবৈধভাবে এই হাট চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে গড়া এই হাটের কথিত মালিকরা অন্য হাট থেকে পথে যাওয়া ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি গরু বাবদ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা জোর করে আদায় করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি এই হাট নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রামু উপজেলার চাকমারকুল পশুর হাটের ইজারাদার কে এম রহীম উদ্দীন। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজির পাশাপাশি এই হাটের কারণে অন্য হাটের বৈধ ইজারাদারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, গত ৩০ নভেম্বর থেকে হাটটি চালু করা হয়। কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া, রামু উপজেলার কলঘর বাজার, ঈদগাহ উপজেলার ঈদগাহ বাজারসহ অন্য বাজার থেকে গরু কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে চকরিয়ার ওই হাটে গরুবোঝাই ট্রাক-পিকআপ আটকে দেওয়া হয়। এই হাটের দোহাই দিয়ে ওই সব ট্রাক-পিকআপের প্রতি গরুর জন্য এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকার চাঁদার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইসলামনগর এলাকায় ৩০ নভেম্বর রাতারাতি স্থায়ী হাট বসিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন এই গরুর হাটটি বসিয়ে মানিক, ওমর আলী, আজগর, মুকুল, বাচ্চু, মামুনসহ আরো কয়েকজন মিলে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক জড়িত রয়েছেন বলে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অভিযোগে দাবি করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে সদ্য বিলুপ্ত চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক সাংবাদিকদের কাছে চাঁদাবাজির ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গরুর এই বাজার বসানোর ব্যাপারে আমাকে জানিয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসন অনুমোদন দেয়নি। তবে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মারুফ হোসেন বলেন, বন বিভাগের জমি দখল করে অবৈধভাবে গরুর হাটটি বসানো হয়েছে। বনের জমিতে বসানো অবৈধ পশুর হাট উচ্ছেদ করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুর রহমান বলেন, অবৈধ গরুর হাট বসানোর বিষয়টি আমি জেনেছি। যেহেতু জায়গাটি বন বিভাগের এখতিয়ারে, তাই বন বিভাগের সুপারিশ মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, গরু বাজারের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদারক করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বন বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।</span></span></p>