<p>চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরীসহ ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।</p> <p>বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই চারজনকে খালাসের পাশাপাশি ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমানো হয়েছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর : আসিফ নজরুল" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/18/1734503871-2344f2cadf496df8bcb5e5812f7c7e77.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>২৬ শতাংশ রেমিট্যান্স বেড়েছে হাসিনার পতনের পর : আসিফ নজরুল</p> </div> </div> </div> <p><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/18/1458735" target="_blank"> </a></p> <p>আসামিদের আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলার শুরু থেকে আদালতকে বলেছি, এই অসস্ত্রগুলো কোত্থেকে এসেছে, কোথায় যাবে, এগুলোর বাহক কারা, এটা যদি চোরাচালানের জন্য আনতে হয় তাহলে বাংলাদেশের আইনে প্রমাণ করতে হলে দেখতে হবে যে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য হয়েছে। কিন্তু এখানে বিচারিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো পার্শ্ববর্তী কোনও দেশে পাচার করার জন্য আনা হয়েছে। আমরা এটাই বলার চেষ্টা করেছি। কোর্টের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছি।’</p> <p>২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার মত এ মামলাতেও প্রথম একটি তদন্তের পর ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয় জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন,  এরপর সরকার পরিবর্তের ফলে আবার তদন্ত ও বিচার পরিবর্তন হয়ে একটি রায় হয়। এ মামলার বিচারিক আদালতে সমস্ত আসামিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এটা আমার উকালতি জীবনে কমই দেখেছি।</p> <p>যে ১০ আসামির সাজা কমেছে তাঁদের মধ্যে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর) মারা গেছেন। এ ছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে।</p> </div> </div> <p>২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।</p>