<p>শিশুশ্রম নিরসনে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা সংস্কারের তাগিদ দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কারের তালিকায় শিশুশ্রমের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। এই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। ‘শিশুশ্রম নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা : আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপে সভাপতিত্ব করেন এএসডির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারপারসন শামসুন্নাহার জলী।</p> <p>আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দীন নিপুন, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প কর্মকর্তা হালিমা বেগম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ পলি, সিনিয়র সাংবাদিক আশীষ কুমার দে ও শরফুল আলম, এএসডির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা প্রমুখ।</p> <p>সংলাপে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন এএসডির কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ শাহিনুর রহমান। তিনি বলেন, আইনগতভাবে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দেশে ৩৫ লাখ শিশুশ্রমে নিয়োজিত আছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ৬৮ হাজার। শ্রমে নিয়োজিত শিশুরা নানা ধরনের শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এসব শিশুশ্রমিক ভয়াবহ নির্যাতন এবং ক্ষেত্রবিশেষে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। এ ছাড়া অসংখ্য শিশু দীর্ঘ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সে কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে।</p>