<p>বদলি ঠেকিয়ে একই কর্মস্থলে থাকা ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজারহাট উপজেলায় প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। পরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বদলি হলেও তা ঠেকিয়ে কাজ করছেন আগের কর্মস্থলে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, অবাধ ঘুষ বাণিজ্য এবং ৩ শতাংশ কমিশন পেতেই তিনি ঠেকিয়েছেন বদলি।</p> <p>জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে সোহেল রানাকে পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি বদলি ঠেকিয়ে বহাল আছেন রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে। অনুসন্ধানে উঠে আসে আওয়ামী সরকারের কুড়িগ্রাম-২ আসনের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার হামিদুর রহমানের মদদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকৌশলী সোহেলের বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের তথ্য। সে সময় ওই এমপির সঙ্গে গভীর সখ্যর কারণে তিনি ঠেকাতে পেরেছেন বদলি। রাজারহাটের ঠিকাদার আরিফুল রহমান আরিফ জানান, জোড়সয়রা হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজের সময় কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিল আটকে দেওয়া হয় এবং তার ন্যায্য কাজের বিল আদায়ের জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয় তাকে।</p> <p>এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, ‘আমার বদলির অর্ডার স্টে হয়েছে, তাই আমি এখনো এখানে কর্মরত। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি নয়।’</p>