<p>কনকনে ঠাণ্ডা, সঙ্গে হিমেল বাতাস। হঠাৎ তীব্র শীতে জবুথবু উপকূলের মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য কোথাও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষেরা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের কয়েক স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।</p> <p>বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালের তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাতের তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ৯২ শতাংশ। এর সঙ্গে ঘনকুয়াশা থাকবে। তবে সামনের আরো দুই দিন এই অবস্থা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।</p> <p>গত কয়েকদিন যাবৎ এ অঞ্চলে গভীর রাত থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। দুপুরে ৪-৫ ঘণ্টা সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপমাত্রা কম অনুভূত হচ্ছে।</p> <p>কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকে।</p> <p>সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে তেমন গরম কাপড় বিতরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবি শীত নিবারণে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।</p> <p>এলাকার সচেতন মহল বলছেন, হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত ও কুয়াশা। কনকন শীতে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসছে। ছেলে-মেয়েরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না। নিম্ন আয়ের লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে এ শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে।</p> <p>পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিকশাচালক বিমল পরামানিক বলেন, ’এই শীত রিকশা চালাতে যাইয়া মোর হাত-পা অবশ অইয়া যায়। কি আর করুম সোঙসারে (সংসার) খোড়াইক যোগাইতে অইবে, কিস্তির টাহাও (টাকা) যোগাইতে অইবে।’</p> <p>শীত মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বেতাগী উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ’শীত নিবারণে ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গরিব মানুষদের শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।</p> <p>উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমারুল্লাহ বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের ওপর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।</p>