<p>অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‌‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দেশের সাংবাদিকতার জন্য শ্রেষ্ঠ অর্জন। ১৫ বছর ধরে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, সেন্সরশিপ একটি বড় উদ্বেগ ছিল। কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া দুর্দান্ত কাজ করেছে। কিন্তু তাদেরও সীমাবদ্ধতা ছিল।’</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম প্রগ্রাম এবং ডয়চে ভেলে একাডেমির যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী নবম সিজেএন বাংলাদেশ নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স ‘ব্রেকিং বাউন্ডারিজ : জেনারেশন-জেড, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড নিউ জার্নালিজম এডুকেশন অ্যাপ্রোচেস’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেসসচিব এসব কথা বলেন। সম্মেলনে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং মিডিয়া পেশাদারদের একত্র করে পরিবর্তিত মিডিয়ায় সাংবাদিকতা শিক্ষার রূপান্তরমূলক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।</p> <p>বিগত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা করে শফিকুল আলম বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’</p> <p>অধিবেশনে এনএসইউর এমসিজে প্রগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক এবং নবম সিজেইএন নেটওয়ার্ক কনফারেন্সের আহ্বায়ক ড. তৌফিক-ই-এলাহী অংশগ্রহণকারীদের অভ্যর্থনা জানান এবং সাংবাদিকতা শিক্ষায় উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।</p> <p>ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এবং ডয়চে ভেলে একাডেমির আন্তর্জাতিক পরামর্শক জুড ডব্লিউ আর হেনেলো সম্মেলনের প্রতিপাদ্যের যথার্থতা উল্লেখ করে ডিজিটাল সময়ে সাংবাদিকতা শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা একত্র হয়েছি। তারুণ্যের শক্তি কেবল রাজনৈতিক বন্দোবস্তকেই নতুন রূপ দেয়নি বরং এটা আমাদের তথ্য, সংবাদ প্রকাশের ধরন এবং নৈতিক যোগাযোগের চিন্তভাবনাতেও পরিবর্তন এনেছে।</p> <p>অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন এনএসইউর কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আব্দুর রব খান। এরপর ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রিজওয়ান খায়ের।</p>