<p>চট্টগ্রামের পশ্চিম খুলশীর রোজ ভ্যালি আবাসিকের একটি বাড়ি থেকে বিলাসবহুল একটি নিশান প্যাট্রল সাফারি জিপ জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গাড়িটির শুল্কই আসে ১০ কোটি টাকা। কিন্তু গাড়িটি কিভাবে আমদানি হলো, বিআরটিএর নিবন্ধন কিভাবে পেল—এসব নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। কারণ বন্দর কিংবা কাস্টমে গাড়িটি আমদানির কোনো তথ্য নেই। অথচ গাড়িটি দিব্যি চলছিল চট্টগ্রামের সড়কে।</p> <p>গত সোমবার রাত ১১টায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাড়িটির বর্তমান মালিক ওসমান গণি নামের এক ব্যক্তি। তবে সেটি তার শ্যালক পারভেজ উদ্দিনের জিম্মায় ছিল। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অবৈধভাবে খালাসের তথ্য পেয়ে গত ১৭ নভেম্বর থেকে গাড়িটি নজরদারিতে রাখেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এরপর গাড়ির মালিকের প্রতিনিধি পারভেজের কাছে এর আমদানিসংক্রান্ত নথি তলব করা হলেও তিনি সেটি উপস্থাপন করতে পারেননি।</p> <p>তবে পারভেজ উদ্দিন একটি হলফনামা দাখিল করেন। এতে দেখা যায়, ওসমান গণি মেঘনা সিডস ক্রাশিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গাড়িটি দেড় কোটি টাকায় কিনেছিলেন। ওসমান গাড়ি আমদানির সব নথিপত্র বুঝে পেয়েছেন এবং সরকারি রাজস্বসংক্রান্ত কোনো জটিলতা হলে তিনি এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব বহন করবেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন। পরবর্তী সময়ে কাস্টম গোয়েন্দা দল মেঘনা সিডস ক্রাশিং লিমিটেডের প্রতিনিধিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িটির  প্রতিনিধি জানান, তারা গাড়িটি আমদানি ও কেনাবেচা সংক্রান্ত কোনো নথি খুঁজে পাচ্ছেন না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে খোঁজ নিয়ে গোয়েন্দাদল জানতে পারে, গাড়িটির আমদানি ও বন্দর থেকে ছাড়সংক্রান্ত কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। ২০১৫ মডেলের নিশান সাফারি গাড়িটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে নিবন্ধনও পেয়েছিল। কিন্তু আমদানিসংক্রান্ত যে নথির বিপরীতে সেটির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল, সেই নথিও মেলেনি বিআরটিএতে।</p>