<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোচ পিটার বাটলার ও সিনিয়র কয়েকজন ফুটবলারের মধ্যে যে বিবাদ তৈরি হয়েছিল, নেপালে তা বিস্ফোরিত হয়! সিনিয়রদের কোচ পছন্দ করেন না, তা পাকিস্তান ম্যাচের পর প্রকাশ্যে চলে আসায় দলের ভেতরে বিরোধের চোরাস্রোত বয়ে যায়। ভারত ম্যাচের আগে তাই দফায় দফায় খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন বাটলার। এরপর ঘোষণা দেন, শুধু সিনিয়রদের নিয়েই ভারত ম্যাচে একাদশ সাজাবেন। কিন্তু গতকাল কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মেয়েরা মাঠে নামার পরই সব বিবাদ, অন্তঃকোন্দল ভুলে ঐক্যের জয়গান গাইলেন মেয়েরা। বাটলারও সিদ্ধান্ত বদলে দুই তরুণী আফিদা খন্দকার ও তহুরা খাতুনকে শুরু থেকে খেলালেন। তাতে ধরা দিল আরেকবার ভারতবধের গৌরব। আফিদা গোলমুখ খোলার পর তহুরার দৃষ্টিনন্দন জোড়া লক্ষ্যভেদ বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে ৩-১ ব্যবধানের জয়। ফলে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই সেমিফাইনালে খেলবে সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাকিস্তান ম্যাচে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা ছিলেন বিবর্ণ। সুযোগ নষ্টের মিছিলে নেমে সেদিন নিজেদের মান দেখাতে পারেননি সাবিনারা। পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়া ভারতের বিপক্ষে গতকাল অন্য এক বাংলাদেশেরই দেখা মিলল দশরথ স্টেডিয়ামে। শুরু থেকেই মধ্যমাঠে মনিকা চাকমা যেভাবে বলের জোগান দিয়েছেন কিংবা লেফট উইং থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা যেভাবে ক্রস ফেলছিলেন, তাতে গোল আসা ছিল সময়ের ব্যাপার। তহুরা-শামসুন্নাহার জুনিয়ররা শুধু এই গতিময় পাসের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিলেন না। ১৮ মিনিটে সেটাই করে দেন সেন্টার ব্যাকে খেলা আফিদা খন্দকার। কোচ-শিষ্যের বিবাদে যাঁর কিনা কাল খেলারই কথা ছিল না। সেই তিনি করলেন ম্যাচের প্রথম গোল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরপর ভারতের ওপর চাপ ধরে রেখে ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঋতুপর্ণার মাপা ক্রসে দূরের পোস্টে ভারতের ডিফেন্ডার জুকি কিষানকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান তহুরা। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলের মধ্যে তখন ছড়িয়ে পড়ে আত্মবিশ্বাসের রেণু</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:Vrinda">৷</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এই বুঝি আরেকটি গোল পেয়ে যাবে, এমন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল বারবার। সেটা বাস্তবে রূপ নেয় ৪২ মিনিটে তহুরার নজরকাড়া গোলে। শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাড়ানো ছোট পাস বক্সের সামনে পেয়ে মাপা শটে জাল খুঁজে নেন ২১ বছর বয়সী তহুরা। এর একটু আগেই ভারতের অধিনায়ক বালা দেবীকে হতাশ করেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে সেই বালা দেবীই এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে থাকার আভাস দেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিরতির পরও একই ছন্দে শুরু করে বাংলাদেশ। কৌশলেও পরিবর্তন আনেননি বাটলার। ভারতের ওপর চাপ অব্যাহত রাখলেও আর গোলের দেখা মিলছিল না। ভারতও অবশ্য গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বালা দেবী, মনীষাদের কোনো চেষ্টাই যে কাজে আসছিল না। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের সঙ্গে গোলরক্ষক রুপনা চাকমা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েছেন প্রতিপক্ষের সব আক্রমণ। শুরুতে নড়বড়ে রুপনা শেষ দিকে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। তাতেই বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। নৈপুণ্যের যে ঝলক দেখিয়েছে বাংলাদেশ, তাতে মনে হচ্ছে আরেকবার হিমালয় জয় করে দেশে ফিরবেন সাবিনারা।  </span></span></span></span></span></p>