<p>দীর্ঘ ১২ বছর পর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন কক্সবাজারে কর্মরত দুই সাংবাদিক। দৈনিক বাঁকখালী নামের স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বুধবার তাদের খালাস দেওয়া হয়।</p> <p>এরা হলেন- দৈনিক বাঁকখালীর তৎকালীন বার্তা সম্পাদক, বর্তমানে দৈনিক সাগর দেশ সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ার এবং দৈনিক বাঁকখালীর তৎকালীন টেকনাফ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাইফী।</p> <p>কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী মামলা থেকে তাদের বেকসুর খালাস দেন। ওই মামলায় দীর্ঘ ৪ মাসের বেশি কারাভোগ করেছেন মোস্তফা সরওয়ার। </p> <p>২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সাবেক স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জামায়াতে ইসলামির পত্রিকা আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে দৈনিক বাঁকখালীর ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।</p> <p>২০১২ সালের ৮ অক্টোবর দৈনিক বাঁকখালীতে ‘মিয়ানমারের আকিয়াবের বড় মসজিদে আগুন’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জি এম রহিম উল্লাহকে প্রধান আসামি করে প্রধান সম্পাদক জাবের আহমদ চৌধুরীকে ২ নম্বর আসামি, সম্পাদক ছিদ্দিক আহমদকে ৩ নম্বর আসামি, পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোস্তফা সরওয়াকে ৪ নম্বর আসামি ও টেকনাফ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাইফীকে ৫ নম্বর আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়।</p> <p>ওই সময় দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দৈনিক বাঁকখালীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।</p> <p>সূত্র মতে, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা মাথায় নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিম উল্লাহ ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাবের আহমদ চৌধুরী।</p> <p>এই ১২ বছর মামলার অন্য আসামিরা হাজিরা দিতে আদালতের বারান্দায় ঘুরেছেন।</p> <p>অন্যদিকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত স্পর্শকাতর মামলা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা, এমনটাই দাবি করছেন সাংবাদিক নেতা জি এ এম আশেক উল্লাহ।</p> <p>সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর মামলা চালানো ও মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।</p>