<p>ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে সরকার পরিবর্তনের পর একদিকে যেমন প্রশান্তি আছে, ঠিক তেমনি অশান্তিও আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম।</p> <p>তিনি বলেছেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনের পরে বাংলাদেশ এখন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে যেমন একটা প্রশান্তি আছে, তেমনি একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। দেশটাকে সঠিক পথে নিতে না পারলে এই ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে।</p> <p>শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ একথা বলেন। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এ প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। </p> <p>এসময় শামা ওবায়েদ বলেন, শেখ হাসিনার পলায়নে ফ্যাসিবাদের পতনের পর এখন আমরা সকলে নিঃশ্বাস নিতে পারছি, কথা বলতে পারছি, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি, আমাদের ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে যাবে না, গুম করবে না, সেই একটা প্রশান্তি আছে আমাদের, সেইসঙ্গে একটা অশান্তিও বিরাজ করছে। কারণ বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম এখনো কমছে না। অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল হয়নি। এখনো বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে। </p> <p>তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি অত্যন্ত রেসপনসেবল দল, যারা এর আগে বহুবার সরকারের দায়িত্বে থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। শহীদ জিয়ার যে ১৯ দফা তারপরে খালেদা জিয়ার ভিশন-২০২৩ দিয়েছিলেন, তার ওপরেই ভিত্তি করে ৩১ দফা প্রণয়ন করেন। দেশের সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা প্রণয়ন করেন।</p> <p>নতুন বাংলাদেশে এখনো আমরা আমাদের লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি উল্লেখ করে শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করা, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঠিক করা, দেশের যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেখ হাসিনা বা তার পরিবার ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, সেগুলোকে ঠিক করা।</p> <p>প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশিদ বাচ্চু, আলী আশরাফ নান্নু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন, আজম খান ও তানভীর চৌধুরী রুবেল, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিক মিতুল, মো. তৈয়ব আক্তার টুটুল, ওবায়দুল কাদের, আরিফুজ্জামান অপু, আলমগীর ভূঁইয়া, মো. এমদাদুল হক, সদস্য কাইয়ুম মিয়া, মো. কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. লিয়াকত আলী, মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রফিকুজ্জামান, মহানগর কৃষকদলের সভাপতি অ্যাড. মোহা. মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক সৈয়দ রাশেদুল আলম, সদস্য সচিব আরিফ বকু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈকত হাসানসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন।</p>