<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গত আগস্ট পর্যন্ত গ্যাসের বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কম্পানির এসব বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারের (আইপিপি) কাছে বকেয়া রয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আওতাধীন সরকারি সার কারখানায় গ্যাস বিল পাওনা দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জ্বালানি খাতের রিপোর্টারদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। গতকাল বুধবার পেট্রোবাংলার প্রধান কার্যালয়ে এই সভা হয়। এতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বেশি, পাওনা আদায়ের হারও বেশি। আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক খাতের বিল দিয়েই সব খরচ চালানো হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের সবচেয়ে বেশি গ্যাস উৎপাদনের ক্ষেত্র বিবিয়ানায় উৎপাদন কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্যাস ব্যবহার অব্যাহত থাকলে মজুদ কমবেই। বিবিয়ানায় কমলে যে ঘাটতি তৈরি হবে, তা মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে ৫০টি কূপ খনন করা হচ্ছে, ১০০টি কূপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে ও স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়া হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভায় জানানো হয়, সরকারি সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিল আদায়ে আন্ত মন্ত্রণালয় সভা করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে পেট্রোবাংলা। শিল্প খাতে বর্তমানে ৩৫৪টি নতুন সংযোগের আবেদন জমা আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরামর্শে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবাসিকে নতুন করে সংযোগ চালুর বিষয়ে সরকারের এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার রোধকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক সভায় একটি নিবন্ধ তুলে ধরে পেট্রোবাংলা। এতে বলা হয়, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গত বছর ১৮৬টি অভিযান চালানো হয়েছে। এতে দুই লাখ ১৯ হাজার ২৬৫টি চুলার সংযোগ ও সাতটি শিল্প গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে দিনে প্রায় দুই কোটি টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৯৫টি অভিযান চালানো হয়েছে। এতে সোয়া লাখ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শিল্প খাতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ৭৪টি। এর মধ্য দিয়ে দিনে এক কোটি ৪১ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত পাইপলাইন সংস্কারের কাজ করছে দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড। গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য আজ বৃহস্পতিবার ফার্মগেটসহ আশপাশের এলাকায় আট ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার তিতাস গ্যাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেট, নাখালপাড়া, শাহিনবাগ, ভাওয়ালবাগ, তেজতুরী বাজার এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।</span></span></span></span></p>