<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় বাতিল চেয়ে তিনটি আবেদনের শুনানি আজ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের আবেদনের পর গতকাল বুধবার আবেদন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালতে জামায়াতের আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত ২০ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তিনটি আবেদনই শুনানির জন্য রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আবেদনটি করেন। চেম্বার আদালত তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এসংক্রান্ত আগের দুটি আবেদনের সঙ্গে এটারও শুনানি হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের চাপে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার। ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন ঘটে। এরপর এই পদ্ধতির অধীনে ১৯৯৬ সালে সপ্তম, ২০০১ সালে অষ্টম এবং ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর মধ্যে ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে আইনজীবী এম. সলিমউল্যাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> একটি রিট করেন। শুনানির পর তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন। রায়ে বলা হয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধানসম্মত ও বৈধ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। ওই বছর রিট আবেদনকারীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিল বিভাগ এ মামলায় দেশের আটজন সংবিধান বিশেষজ্ঞের বক্তব্য শোনেন। তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। এমনকি তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও এর পক্ষে মত দেন। আপিল বিভাগের সাতজন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে রায়ের জন্য দিন ঠিক হলে ছয় বিচারপতির তিনজন ভিন্নমত তুলে ধরেন। এ পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ২০১১ সালের ১০ মে রায় দেন। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে আশ্রয় করে দলীয় সরকারের অধীনে পর পর তিনিটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকেন শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট তাঁর পতন হয়। এরপর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদনগুলো করা হয়।</span></span></span></span></span></p>