<p>গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় চার্চের দেওয়া খাবার খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৬৩ শিশু-কিশোর। এরমধ্যে এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯ জন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। </p> <p>মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কোটালীপাড়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ ফারুক আল শাহেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের চার্চ অব বাংলাদেশে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে দেওয়া খাবার খেয়ে প্রায় দুই শ শিশু-কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিশু-কিশোরদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়।</p> <p>জানা গেছে, কান্দি চার্চে সকাল ৯টা থেকে তালিকাভুক্ত ৩২০ শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠানের করা হয়।  দুপুর ২টার দিকে শিশু-কিশোরদের বিরিয়ানি খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়। বিরিয়ানির প্যাকেট বাড়িতে নিয়ে খাওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে তাদের সবার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পরে অসুস্থ শিশু-কিশোরদের তাদের অভিভাবকরা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে ১৬৩ শিশু-কিশোরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।</p> <p>কান্দি ইউনিয়নের ওই চার্চের প্রজেক্ট ম্যানেজার রিপন কুন্দা বলেন, আমাদের সংস্থার তালিকাভূক্ত ৩২০ শিশু-কিশোরকে নিয়ে প্রাক-বড়দিনের অনুষ্ঠান করি। তাদের স্থানীয় ধারাবাশাইল বাজারের গোবিন্দ বোস হোটেল থেকে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়। তা খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>এ বিষয়ে জানতে ধারাবাশাইল বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী গোবিন্দ বোসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।</p> <p>উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিক থেকে হাসপাতালে বমি ও পাতলা পায়খানার সম্যসা নিয়ে শিশু-কিশোররা আসতে থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের চাপ বাড়তে থাকে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, খাবার খাওয়ার পর থেকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ১৬৩ জন অসুস্থ হলেও এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯ জন। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। </p> <p>কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনুর আক্তার বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করি। বর্তমানে সবাই সুস্থ আছে। বাকি যারা ভর্তি আছে তারাও বেশ ভালো অবস্থায় আছে। </p>