<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০ লাখ টাকা বহনের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেরার মুখে পড়েছেন যশোর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবু হাসনাত মোহাম্মদ আহসান হাবিব। ঘটনাটি ১৯ নভেম্বরের হলেও গত সোমবার এটি যশোরে জানাজানি হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যক্ষ কী কারণে নগদ এত টাকা বহন করছিলেন, তা জানা যায়নি। আত্মপক্ষ সমর্থন করে অধ্যক্ষ বলছেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউর কিছু সরঞ্জাম কিনতে তিনি টাকা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এই বক্তব্য সমর্থন করলেও আশ্চর্য ব্যাপার হলো, ঠিক কী যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছিল, তা তিনি জানেন না। আবার খরচের জন্য যে খাত থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই খাতেরও কোনো স্বচ্ছতা নেই। ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি শুধুই ভুল-বোঝাবুঝি?</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর সকালে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ যশোর বিমানবন্দরে যান। সেখানে স্ক্যানিংয়ে তার ব্যাগে বিপুল টাকা শনাক্ত হয়। অধ্যক্ষ পরিচিত মুখ হওয়ায় এবং ফ্লাইটের সময়ও ঘনিয়ে আসায় যশোর বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ছেড়ে দেন। তবে ঢাকায় হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে তারা বিষয়টি অবহিত করে রাখেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যক্ষ ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ লাখ টাকা পান। তারা এই টাকার উৎস, কী কারণে বিপুল নগদ টাকা তিনি বহন করছেন, সেসব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চান। অবস্থা বেগতিক দেখে অধ্যক্ষ ফোনে যোগাযোগ করেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদের সঙ্গে। ডা. হারুন হোয়াটসঅ্যাপে কিছু সরঞ্জাম কেনার ফরমায়েশ পাঠিয়ে দেন। নিরাপত্তাকর্মী ও গোয়েন্দাদের সেই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখানোর পর ছাড়া পান অধ্যক্ষ হাবিব।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যক্ষ ডা. হাবিব বলছেন, আইসিইউর কিছু যন্ত্রপাতি কেনার জন্য তিনি টাকা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানার পর আমি তাদের জানিয়ে দিয়েছি যে এই টাকা আইসিইউর যন্ত্রপাতি কেনার জন্য।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অবশ্য কী যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে স্বীকার করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন।</span></span></span></span></p>