<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিল সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা, কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পরিবারের মেয়ে ও কলেজের ছাত্রীরা। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তাদের এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কোর্স তিন মাসের হলেও প্রশিক্ষণার্থীরা বাস্তবে আরো বেশি সময় শেখার সুযোগ পেয়েছে। যত্নসহকারে সেলাইয়ের প্রথম থেকে জামা তৈরি পর্যন্ত  প্রতিটি পর্যায় ভালো করে শেখানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ শিখে কিছুটা আয় করতে পারলে তার ও পরিবারের জন্য বাড়তি পাওনা হবে। একসময় সংসারে প্রধানত পুরুষরাই আয় করতেন। তাদের আয় দিয়েই চলে যেত সংসার। বর্তমান বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সংসারে ব্যয় বেড়েছে বহুগুণে। সে তুলনায় বাড়েনি আয়ের পথ। ফলে সংসার চালাতে কষ্ট হয় অনেকেরই। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত পরিবারে টানাপড়েন লেগেই থাকে। এই বাস্তবতায় পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সহযোগীর ভূমিকায় এগিয়ে আসা উচিত। উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণের বিকল্প নেই। নারীরা গৃহস্থালির কাজের পরে যে সময়টুকু পায়, তা যথাযথভাবে কাজে লাগালে পরিবার হয়ে ওঠে সুন্দর, আসে আর্থিক সংগতি। সেলাই এমনই একটি কাজ। একসময় গ্রামীণ নারীরা শখের কারণে সেলাই করলেও আজ তা হয়ে উঠেছে স্বাবলম্বী হওয়ার অনন্য মাধ্যম। অল্প পুঁজি বা বিনা পুঁজিতেই শুরু করা যায় সেলাইয়ের কাজ। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা বা আন্তরিকতার। বসুন্ধরা শুভসংঘ সারা দেশে হাজারেরও বেশি অনগ্রসর বা এগিয়ে যেতে ইচ্ছুক নারীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান করে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এসব নারী প্রশিক্ষণ আর মেশিনের ওপর ভর করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, যা অন্যদের জন্য উদাহরণ বা প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। আমার কলেজের এবং অন্য আরো যে শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন আর প্রশিক্ষণ পেয়েছে, এটিকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজের আয়েই পড়াশোনা চালাতে পারবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>