<p>ভারতের মূলধারার মিডিয়ার হলুদ সাংবাদিকতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।</p> <p>বুধবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তাঁরা ভারতের গণমাধ্যমের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে মনগড়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপতথ্য দিয়ে তৈরি সংবাদ প্রচার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এর তীব্র নিন্দা জানান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হত্যাচেষ্টা মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733324797-467ee1174284ff0c2b569e8efba21445.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হত্যাচেষ্টা মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/12/04/1453863" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শাহজাহান সাজু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এই অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী গোষ্ঠী ছাড়া এদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সবাই অংশগ্রহণ করে। তাদের একটিই লক্ষ্য-মহান মুক্তিযুদ্ধের ভূলুষ্ঠিত স্বপ্ন বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করা।’</p> <p>বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে মনগড়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন অপতথ্য দিয়ে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ভারতের বক্তব্য ও এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশের উগ্রজঙ্গীদের দ্বারা আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা, কলকাতা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন কার্যালয়ের সামনে সেখানকার উগ্রবাদী সংগঠনগুলো যুদ্ধংদেহী বিক্ষোভ দেখিয়েছে।</p> <p>বিবৃতিতে দুই সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা মনে করি, ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে অপপ্রচার ছড়ানোর কারণেই ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়া স্থলবন্দরে, সিলেটের দিকে আসামে ভারতীয় সীমানা থেকে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন উগ্র বক্তব্য ও স্লোগানসহ সারা ভারতেই বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকায় নেমেছে সেখানকার উগ্রবাদীরা। আমরা আশা করব, নতুন বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতের সরকার ও গণমাধ্যম শ্রদ্ধাশীল হবেন। এটা উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।</p>