<p>৯ বছর আগে আওয়ামী লীগের মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। </p> <p>বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের আদালত এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর আসছে : জামায়াত আমির" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733323505-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দু-এক দিনের মধ্যে সুখবর আসছে : জামায়াত আমির</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/04/1453855" target="_blank"> </a></div> </div> <p>খালেদা জিয়া বাদে এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (মৃত), স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আ. কাইয়ুম ও বিএনপির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু। এ ছাড়া আসামি হিসেবে মোস্তফা, মামুন, মানিক, আব্দুর রহিম, মো. শফিকুল ইসলাম খান, মো. ওসমান গনি, মো. খোকন মিয়া, মো. রেজাউর রহমান ফাহিম, মো. মিজানুর রহমান সোহাগ, এস এম আমিনুর রহমান, সৈয়দ সাহাদাৎ আহম্মাদ, মাসুদ ইব্রাহিম, মো. মাহফুজুল হক, মো. সাইদুল ইসলাম ও রেজাউর করিম শাহিন রয়েছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733322544-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সব রাজনৈতিক দলের প্রতি ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/04/1453853" target="_blank"> </a></div> </div> <p>খালেদা জিয়াসহ কোন আসামির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষী খুঁজে না পেয়ে গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুস ছোবহান আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করেছেন। </p> <p>মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ডাকা মিছিলে অনেক লোক ছিল। তারা মিছিল করে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশান ২ নং গোলচত্বরের নিকট পৌঁছলে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলে থাকা লোকজন আহত হয় এবং মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়। আহত লোকজন ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। মিছিল চলাকালে কে বা কারা কোন দিক থেকে বোমা নিক্ষেপ করে তার কোন প্রত্যক্ষ সাক্ষী বা কে কে বোমা নিক্ষেপ করে তা তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা বা পরে একাধিক তদন্তকারী কর্মকর্তা শনাক্ত করতে পারেননি। এ ব্যাপারে কোনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নেই। </p> <p>প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তকালে কোন সাক্ষী এজাহারনামীয় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রদান করেননি। মামলাটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় তদন্ত কালে বর্তমানে ঘটনাস্থলের আশপাশের তৎকালীন সময়ে কোনো লোকজন না থাকায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সাক্ষী পাওযা যায়নি। এ মামলায় কোনো আসামি শনাক্ত করতে না পারায় এবং বাদী যে এজাহারে যে তথ্যে ভিক্তিতে নাম উল্লেখ করেন তা ভুল থাকায় এবং এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না থাকায় মামলাটি অহেতুক বিলম্ব না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। </p> <p>২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন বাচ্চু বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএনপি জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়র কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য গুলশানস্থ পুরাতন ওয়াল্ডারল্যান্ড মাঠে সমবেত হন।  সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ হাজার লোক খালেদা জিয়ার অফিস অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হয়। গুলশান ২ এর গোলচত্ত্বরে পৌঁছলে তাদের মিছিলের ওপর কয়েকটি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ১৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।</p>