<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেখে জলাশয় মনে হলেও তা জলাশয় নয়। এটা জেলার আহমেদপুর-গুরুদাসপুর মহাসড়কের দুই পাশের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। সম্প্রতি মাঠের মধ্যে অপরিকল্পিত পুকুর খননে বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর, ঘড়বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠ। জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী ও কৃষকরা মানববন্ধন করে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবিও করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, রাস্তা এবং কৃষি সেক্টরের চারটি বিলের পানি প্রবাহের যে জলাশয় ছিল এখন পুকুর খনন করে সব বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে। যদি সরকারিভাবে বড় ড্রেন করে বড়াল নদে পানি প্রবাহের সংযোগ করা হয় তাহলেই স্থায়ী সমাধান হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, গত ১৩ বছরে গুরুদাসপুর উপজেলায় ফসলি জমি কমেছে এক হাজার ৫১০ হেক্টর। কমে যাওয়া এসব জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন, গৃহিণী আসমা বেগমসহ অন্তত ১০ জন ভুক্তভোগী জানান, পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা করা হলে বিলের জমিতে তাঁরা আগের মতো তিন ফসল চাষ করতে পারবেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, দুটি বিলের ১০০ বিঘা জমির রোপা আমন ধান পানির নিচে রয়েছে। প্রতিবছরই এই দুই বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন, কৃষকের স্বার্থে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা করে বিল দুটিকে তিন ফসলি করে তোলার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p>