<p>বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের নিজের নামের আগে দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক শব্দগুলো ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। এই সিদ্ধান্তে তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা ফুটে উঠেছে। এটি শুধু একটি নির্দেশ নয় বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা ও নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করার একটি প্রয়াস।</p> <p><strong>নেতৃত্বে বিনয় ও সংযমের প্রতিফলন</strong></p> <p>তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, তিনি বিনয়ী ও সংযত রাজনীতির প্রতি অনুরাগী। সাধারণত নেতারা নিজেদের নামের সঙ্গে বিশেষণ জুড়ে আলাদা পরিচিতি তৈরি করতে চান। কিন্তু তিনি তার বিপরীতে গিয়ে দেখিয়েছেন, নেতৃত্বের আসল মাপকাঠি জনগণের জন্য কাজ করা এবং অহংকারবর্জিত জীবনযাপন। এটি জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে।</p> <p><strong>বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট</strong></p> <p>বাংলাদেশের রাজনীতিতে উপাধি ও পদবির ব্যবহার অনেক পুরনো। নেতারা নিজেদের নামের আগে নানা ধরনের শব্দ যোগ করে সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের ভাবমূর্তি তৈরি করেন। তবে এই প্রবণতা অনেক সময় বিতর্কিত ও অযাচিত হয়ে দাঁড়ায়। তারেক রহমানের এই নির্দেশ সেই চর্চার বিপরীতে গিয়ে একটি ব্যতিক্রমী বার্তা দিয়েছে। এটি নেতাদের ব্যক্তিত্বকে পদবির চেয়ে কাজ দিয়ে মূল্যায়নের আহ্বান।</p> <p><strong>তারেক রহমানের পদক্ষেপ কেন ইতিবাচক?</strong></p> <p>তারেক রহমানের এই বার্তা প্রমাণ করে, তিনি নিজেকে নেতা হিসেবে উপস্থাপনের চেয়ে দলের জন্য কাজ করাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাজনীতিতে যখন ক্ষমতার দম্ভ বেশি দেখা যায়, তখন তারেক রহমানের মতো নেতার এই বার্তা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, উপাধি মানুষের কাজ দিয়ে অর্জিত হয় আর এই মানসিকতা রাজনীতির প্রতি তার দায়বদ্ধতার পরিচায়ক।</p> <p><strong>জনগণের প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যাশা</strong></p> <p>তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্ত জনগণের মধ্যে ভালো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি দেখায়, একজন নেতা জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে দেখতে চান এবং ব্যক্তিগত সম্মান বা উপাধির চেয়ে কাজকে প্রাধান্য দেন।</p> <p><strong>শেষকথা</strong></p> <p>তারেক রহমানের উপাধি বর্জনের নির্দেশ রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির বার্তা দেয়। এটি তার দলের জন্য যেমন উদাহরণ সৃষ্টি করবে, তেমনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো বিনয়ী ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের পথপ্রদর্শক হতে পারে। রাজনীতিতে এই ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন শুধু বিএনপি নয়, পুরো জাতির জন্য একটি শুভ লক্ষণ।</p> <p>সুবাতাস আসুক রাজনীতিতে। বিএনপির এই উদ্যোগ আরো নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিক।</p> <p><em>[মতামত লেখকের নিজস্ব। কালের কণ্ঠ অনলাইন বা কালের কণ্ঠ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হতে পারে।]</em></p>