<p>কুড়িগ্রামে পিপি-জিপি নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ ঘটনায় দুপুরে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন পিপির চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। </p> <p>এর আগে এদিন সকালে আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি) শাখা থেকে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অধীন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত পত্রে পিপি-জিপিদের নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।</p> <p>বিজ্ঞপ্তিতে মো. বজলুর রশিদকে পাবলিক প্রসিকিউটর, মিজানুর রহমান সরকারকে পাবলিক প্রসিকিউটরসহ (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) ৯ জনকে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (জেলা ও দায়রা জজ আদালত) এবং মো. আসাদুল হককে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (জেলা ও দায়রা জজ আদালত), সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে আবুল কাশেমকে ও মো. আলতাফ হোসাইনকে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলির নিয়োগ দেওয়া হয়।</p> <p>এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আইনজীবী ভবন। নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে কুড়িগ্রাম জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির একাংশ। বিক্ষোভ মিছিলে প্রহসনের এবং সাজানো নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান আইনজীবীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কুড়িগ্রামে জেলা ও উপজেলা আ. লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730110727-49c140f4ea25640ec6a42d294ef333d0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কুড়িগ্রামে জেলা ও উপজেলা আ. লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/28/1440072" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দুপুর আড়াইটায় সিনিয়র আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সমর্থকরা বজলুর রশিদকে পিপি হিসেবে মেনে নিতে না পেরে তার চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে চলে যায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। </p> <p>নবীন আইনজীবী ফারজানা নাসরিন বলেন, ‘দুপুরে একদল আইনজীবী এসে বজলুর রশিদের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তাদের আমি ভালো করে চিনি না।’ </p> <p>নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর বজলুর রশিদ বলেন, ‘পিপি-জিপি হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই যোগ্য। সব আইনজীবী আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।’ এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভর্তি জটিলতায় বশেমুরবিপ্রবির ২২ শিক্ষার্থী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732023827-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভর্তি জটিলতায় বশেমুরবিপ্রবির ২২ শিক্ষার্থী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/11/19/1448425" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক পিপি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা পিপি-জিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী দলের কোনো পদ-পদবিতে ছিলেন না। ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামেও ছিলেন না। তারা টাকার বিনিময়ে এসব পদ-পদবি বাগিয়ে নিয়েছেন। আমরা এই পিপি-জিপি নিয়োগ বাতিল চাই। অন্যথায় তাদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। এ ছাড়া যারা চেয়ার-টেবিল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’</p>