<p>ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার উৎখাতের তৎপরতার অভিযোগে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আখাউড়া এবং রবিবার রাতে বিজয়নগর থানায় মামলা করা হয়। মামলার আসামিদের বেশির ভাগই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।</p> <p>বর্তমান সরকারকে গণবিপ্লবী আখ্যা দিয়ে উৎখাত চেষ্টার অভিযোগে সোমাবার আখাউড়া থানার এসআই আব্দুল আলীম এই মামলাটি করেন। এই মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এর মধ্যে থেকে রনি ভূঁইয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ইটের টুকরা, বাঁশ, রড উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে তারা।</p> <p>মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নাশকতামূলক কাজের জন্য রবিবার রাতে উপজেলার গাজীর বাজারের বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ খবরে সেখানে অভিযান চালিয়ে রনি ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া রাফসান জনি, মোকাদ্দেস মিয়া, ঈশান ভূইয়া, নিয়ামুল সিকদার, আরাফাত রহমান, আমজাদ হোসেন মাসুক, শামীম ভূইয়া, সামির, মমিন, জাহিদুল ইসলাম শাওন, ইয়ার হোসেন, তুষার ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম শান্ত, রাব্বি আহম্মেদসহ অনেকে পালিয়ে যান। </p> <p>বিজয়নগরে সরকার উৎখাতের ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবে নৈরাজ্য ও নাশকতা করার অভিযোগে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। </p> <p>রবিবার রাত সোয়া আটটার দিকে বিজয়নগর থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়। মামলার বাদী বিজয়নগর থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইউনুস মিয়া। মামলায় আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা ১৫ জনের সবাই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। ওই ১৫ জন উপজেলার পৃথক ১৪টি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।</p> <p>মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার ভিটি দাউদপুর গ্রামের হোসাইন মিয়া, খাটিংগার এমরান হোসেন মনির, একতারপুরের মো. দর্পণ মিয়া, চান্দুরার সুনির্মল সাহা, ইসলামপুরের ইজাজুর রহমান রাকিব, সাতবর্গের মোবারক হোসেন, সাটিরপাড়ার সাদ্দাম হোসেন, আদমপুরের মো. শফিকুল ইসলাম রাজভী, নোয়াগাঁওয়ের ইকবাল, পেটুয়াজুড়ির জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, চাঁনপুরের জাহাঙ্গীর মৃধা, খাদরাইলের জিয়াউল হক বকুল, সাতগাঁওয়ের কাউছার মিয়া, সাতবর্গের রাসেল মিয়া। এর মধ্যে হোসাইন মিয়া ও এমরান হোসেন মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ২৫টি ইটের টুকরা ও ১৮টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশের জব্দ তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>পুলিশ কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া তার করা মামলায় অভিযোগ করেন, ১৩ নভেম্বর রাতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তিনি আমতলী বাজারে অবস্থানকালে খবর পান যে চান্দুরা এলাকায় নাশকতার জন্য কিছু লোকজন জড়ো হয়েছে। ১৪ নভেম্বর রাতে সেখানে ছুটে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে আটক করা হয়। এ সময় তারা জানতে পারেন গণবিপ্লবী সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে নাশকতা করতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়েছিলেন।</p>