<p>অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিনের কাছে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটেরর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা কাবাতিয়া গ্রামে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। সেখানে সীমান্ত পুলিশ গোপনে একজন ওয়ান্টেড ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তারা প্রতিরোধ করে।</p> <p>বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন রায়েদ হানাইশা যে ভবনে লুকিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা হয়। পরে তাকে ও অন্য ‘দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী’কে হত্যা করা হয়। এরপর তারা ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার, ‘দুটি বোমা তৈরির কারখানা ধ্বংস’ করে। তাদের বাহিনী এখনো ওই এলাকায় সক্রিয়।</p> <p>পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় গভর্নর কামাল আবু আল-রুব জানিয়েছেন, ‘তিনজন শহীদের মরদেহ এখনো ইসরায়েলি পক্ষের কাছে রয়েছে, তারা তাদের হত্যা করেছে।’</p> <p>এ ছাড়া ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেলা সমন্বয় অফিসও তাদের জেনিন গভর্নরেটের অন্তর্গত ‘কাবাতিয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত তিনজন যুবকের’ বিষয়ে অবহিত করেছে।</p> <p>স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত তিনজনের বয়স ২৪ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের মধ্যে একজন রায়েদ হানাইশা বলেও নিশ্চিত করেছে তারা। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, হানাইশা সাম্প্রতিক সময়ে ‘সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানো ও বোমা হামলায়’ জড়িত ছিলেন।</p> <p>গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে গেছে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে। রামাল্লাভিত্তিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনা বা বসতি স্থাপনকারীদের হাতে অন্তত ৭৭১ ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, একই সময়ে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের হামলায় অন্তত ২৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>