<p>তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কিছু আলোচিত বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘এই মামলাটি (পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে রিট) কোনো পক্ষের নয়, এটি এখন পুরো বাংলাদেশের মানুষের মামলা।’ গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের রুল শুনানিতে এ কথা বলেন হাইকোর্ট।</p> <p>বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলের চূড়ান্ত শুনানি চলছে।</p> <p>দ্বিতীয় দিনও শুনানি করেন রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া। শুনানিতে তিনি সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকে একটি মোটিভেটেড অ্যামেন্ডমেন্ট (উদ্দেশ্যমূলক সংশোধনী) বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, বারবার যাতে একই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে, সে উদ্দেশ্যেই মূলত পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল।’ এই আইনজীবীর শুনানি চলার মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানির বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্টকে বলেন, ‘এই মামলায় আমরা ভিন্নভাবে যুক্ত হলেও মূলত মামলাটিতে কোনো পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নেই। এটি দেশ-জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা।’</p> <p>তখন হাইকোর্ট আইনজীবী কাজলের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, ‘হ্যাঁ, এই মামলাটি কোনো পক্ষের নয়। এটি এখন পুরো বাংলাদেশের মানুষের মামলা। এই মামলার ক্লায়েন্ট (মক্কেল) বাংলাদেশের জনগণ।’ এরপর আদালত রুল শুনানি আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।</p> <p> </p>