<p style="text-align:justify">তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কিছু আলোচিত বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘কেউ যেন বলতে না পারে যে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।’</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলে তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। </p> <p style="text-align:justify">এদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। এ ছাড়া শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহরিয়ার কবির। </p> <p style="text-align:justify">এই আইনজীবী সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ৭(খ)সহ বিভিন্ন অনুচ্ছেদ নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। তার শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘এই রায়টি আমরা কলমের মাধ্যমেই  লিখব। মানুষ এটি ৫০ বছর বা আরো বেশিদিন মনে রাখবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি।’ এরপর আদালত আগামী রবিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লন্ডনযাত্রা পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730990649-81bd10d76970c369463f8e9bd328b266.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লন্ডনযাত্রা পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/07/1443967" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">শুনানির পর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার সর্বোচ্চ আদালতের রায়কেও অনুসরণ করেনি। ইচ্ছামতো সংশোধনী এনেছে। সংবিধানে সংশোধনী আনতে হলে যেসব উপাদান থাকতে হয়, তা অষ্টম সংশোধনীর রায়ে উল্লেখ আছে। ফলে এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সুতরাং এই সংশোধনী বাতিলযোগ্য এবং আদালতের মাধ্যমে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল চেয়েছি।’</p> <p style="text-align:justify">এর আগে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।</p>