<p style="text-align:justify">কুষ্টিয়ার সদর থানাধীন কুমড়াপাড়া এলাকার সরকারি শিশু পরিবার বালক নামের এক এতিমখানা থেকে রাইহান হোসেন রিজভী (১২) একজন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী হারিয়ে গেছে। হারানো ফুফাতো ভাইকে ফিরিয়ে পেতে সহযোগিতা চেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা।</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সহযোগিতা চান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে ফাতেমা বলেন, গত ২ নভেম্বর রিজভী কুষ্টিয়ার সদর থানাধীন সরকারি শিশু পরিবার বালক থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু এতিমখানা কর্তৃপক্ষ দুইদিন পরে আমাদের ঘটনাটি জানায়। এরপর আগে এতিমখানা থেকে কোনো স্টেপ নেওয়া হয়নি। আমার ভাইয়ের ব্যাগ গত ৪ নভেম্বর খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে পাওয়া গেছে। কিন্তু আজ ছয়দিন পার হলেও রিজভীর কোনো খোঁজ মেলেনি। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কুষ্টিয়া পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো জানান, এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক মৌলভি ইলিয়াস হোসেন রিজভী কুষ্টিয়ার সদর পুলিশ স্টেশনে একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন। জিডিতে তিনি রিজভীকে নিজের আপন ভাতিজা বলে পরিচয় দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এতিমখানা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের দেরিতে নিখোঁজের বিষয়টি জানাল এবং কেন আমাদের কাছে সংবাদ গোপন করল?</p> <p style="text-align:justify">লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, রিজভীর জন্মের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মা মারা যায়। পরবর্তীতে রিজভীর লালন পালনের দায়িত্ব নেন ফাতেমার পরিবার। আপন ফুফাতো ভাইকে আদর যত্নে বড় করে তোলেন তারা। তবে রিজভী বড় হলে তার বাবা তাকে নিয়ে যেতে চাইলে কুষ্টিয়া শহরের একটি সরকারি এতিমখানায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেখান থেকেই রিজভী এতিমখানায় ছিল।</p> <p style="text-align:justify">দেশবাসীর নিকট আকুতি জানিয়ে ফাতেমা বলেন, আপনারা আমাকে সাহায্য করুন। আমার ভাইকে হারিয়ে আমার পরিবার দিশাহারা হয়ে গেছি। কীভাবে আমরা ভাইকে ফিরে পাবো বুঝতেছি না । আমার ভাই এখন কোথায়? কি অবস্থায় আছে? জানিনা!</p>