<p>অপহরণের তিনদিন পর বাংলাদেশি ২০ জেলেকে ফেরত দিলেও ফেরত দেয়নি ১৭টি নৌকা ও তাদের মাছ শিকারের জাল। মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মি বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলেদের টেকনাফের নতুন নদে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির হাতে হস্তান্তর করে। </p> <p>বাংলাদেশ থেকে যাওয়া দুটি নৌকায় বিজিবির মাধ্যমে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে জেলেরা ফিরে আসেন। পরে ফেরত আসা জেলেদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। জেলেদের ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফে দায়িত্বরত বিজিবির ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিইদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, 'বঙ্গোপসাগরের নাফ নদে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শুন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের পানিসীমার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ঢুকে পড়েন বাংলাদেশি জেলেরা। ওই সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি অনুপ্রবেশের দায়ে নৌকাসহ ২০ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করে। পরে আমরা তাদের (আরকান আর্মি) সাথে যোগাযোগ শুরু করি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলেদের ফেরত আনা হয়েছে।'</p> <p>জেলেরা ফিরলেও তাদের নৌকা ও জাল ফেরত দেওয়া হয়নি। সে বিষয়ে বিজিবির ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিইদ্দীন বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে কথা বলছি।'</p> <p>ফেরত আসা জেলে এনায়েত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুইটা ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখে কাপড় বেঁধে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তখন তারা আমাদের শর্ত বেধে দিয়ে টিপসই নেন সব জেলেদের কাছ থেকে। এবার নাকি আমাদের ক্ষমা করে দিছে, যদি আরেকবার ধরতে পারে বাংলাদেশে আর ব্যাক দিবে না। </p> <p>ফেরত আসা আরেক জেলে আব্দুল করিম বলেন, ‘আমরা আজীবন নাইক্ষ্যংদিয়ায় মাছ শিকার করে আসছি। এ বছর আরকান আর্মি বাধা সৃষ্টি করছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের বাপ দাদারা এই স্থানে মাছ শিকার করে আসছিল। সে সূত্র ধরেই আমরা সেখানে মাছ শিকারে যাই।’</p> <p>এ বিষয়ে নৌকার মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নাফনদীতে মাছ শিকারের সময় নৌকাসহ ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। অবশেষে বিজিবির প্রচেষ্টায় তিনদিন পর জেলেদের ফেরত আনা হয়েছে। তবে জেলেদের ব্যবহৃত ১৭টি নৌকা আর জাল ফেরত দেয়নি আরকান আর্মি।’</p>