<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরো উদ্যোগী সরকার। পাশাপাশি আগামী রমজানে স্বস্তি দিতে আমদানিতে উদার নীতির পথে হাঁটছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে এবং ১১টি পণ্যের এলসি মার্জিন তুলে দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো এলসি মার্জিন যাতে না রাখা সেই অনুরোধও করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আসন্ন রমজান মাসে খেজুর, ছোলা, ভোজ্য তেল, চিনিসহ পাঁচ-ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর কাছে নগদ অর্থ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আর থাকবে না। আর এসব ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার লিমিট সাময়িক প্রত্যাহারের কথাও বলেছেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমদানিকারকরা সহজভাবে পণ্য আমদানি করতে পারবেন। বাজারে পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। আগামী রবিবার থেকে এসংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হবে। এতে ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক লেনদেন সহজ করবে। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গভর্নর। সভায় শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বৈঠকে অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অন্তত ৯ জন সচিব অংশ নেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর গণমাধ্যমকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার সাপ্লাই চেইন সহজ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিত্যপণ্যের এলসি মার্জিনের বাধ্যবাধকতা আগেই উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন নিত্যপণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো যেন কোনো এলসি মার্জিন না রাখে, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে একটা নির্দেশনা দেব। ব্যাংকগুলোকে আমরা অনুরোধ করব, অন্তত আগামী রোজার আগ পর্যন্ত নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের এলসি মার্জিন যেন না আরোপ করে। বড় বড় আমদানিকারকের জন্য সিঙ্গেল বরোয়ার লিমিট একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, সিঙ্গেল বরোয়ার লিমিট ভায়োলেট করা উচিত নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চালের দাম তুলনামূলক কম : বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ওঠানামা করলেও চালের দাম গত বছরের তুলনায় কম বলেই বৈঠকে উঠে এসেছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়েও কম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চালের দাম বেশি, কিন্তু গত বছরের চেয়ে পাঁচ-ছয় টাকা কম আছে এখন। এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে দাম সস্তা আছে বাংলাদেশে। আমদানি শুল্ক শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে, কিন্তু এর পরও কেউ আমদানি করছে না। ভারত থেকে চাল আমদানি করলেও খরচ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পড়ছে। এর মানে হচ্ছে চালের বাজারে দেশীয় জোগান খারাপ নয়; এখন চালের যে দাম আছে সেই পর্যায়েই থাকবে। বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে চালের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়েই আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থিতিশীলতার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে : গভর্নর বলেন, গত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকে এটা ফ্রি। যার কারণে সঠিক তথ্যই উঠে আসছে। অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০.৮৭ শতাংশ হয়েছে। তবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমানে দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমে আসতে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পরে বলে জানান গভর্নর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গভর্নর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুদ্রানীতি সংকোচন (মনিটরি টাইটেনিং) করতে হবে; সেটা আমরা করছি। পলিসি রেট ও ইন্টারেস্ট রেট এখন বাজারভিত্তিক আছে, এভাবেই থাকবে। পলিসি রেট বাড়িয়েছি, কিন্তু এর কারণে ইন্টারেস্ট রেট বাড়েনি। এর মানে হচ্ছে ব্যাংক যে লাভটা করত সেটা কম করবে। এটার মাধ্যমে ব্যাংকের লিকুইডিটি টাইট করে ফেলছি। আশা করছি এর মাধ্যমে বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রভাব পড়বে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বলছে, মুদ্রনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ (টাইটেনিং) করার পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লেগে যাচ্ছে। সে জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতেই হবে। পলিসিগুলো বাস্তবায়নের সময়টা দিতে হবে। এটা দুই তিন মাসের ব্যাপার নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, সরকার এরইমধ্যে বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড প্রগ্রাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্ডের বাইরেও সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। গত এক মাস ধরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুলভ মূল্যে শাক-সবজি বিক্রি করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।</span></span></span></span></p>