<p>‘আমরা কারো নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানুক। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে, সেটা ইতিহাসে থাকবে।’ এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। </p> <p>মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি আবারও বলছি মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ যাদের ইতিহাসে অবদান আছে তাদের নাম স্মরণীয় করে রাখতে হবে। সেটার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না। যার যা ইতিহাস আছে সেখানে থাকবে।’ </p> <p>বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন “আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি।” তিনি পাকিস্তান আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সেদিন তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেটার জন্য এ বিপ্লব উদ্যান ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থান।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চসিকের সাবেক মেয়র রেজাউল, তার মেয়েসহ ৬ জনের নামে মামলা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/07/1728311725-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চসিকের সাবেক মেয়র রেজাউল, তার মেয়েসহ ৬ জনের নামে মামলা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/07/1432814" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চসিক মেয়র বলেন, ‘বিপ্লব উদ্যানে মার্কেটের জন্য যে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে সেগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এখানে কোনো নতুন স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে। এখানে আবারও পাখি ডাকবে। মানুষ হাঁটবে এবং অক্সিজেন নেবে। এখানে মালিক সমিতির যিনি সেক্রেটারি আছেন আমি তাকে নির্দেশ দিচ্ছি এখানে নবনির্মিত লোহার কাঠামোগুলো ভেঙ্গে দেবেন। আমরা এখানে একটি গ্রিন পার্ক করব।’</p> <p>পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সচিব আশরাফুল আমিনকে নিয়ে বিপ্লব উদ্যান এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র।</p>