<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মায়ানমারের জান্তাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে আইসিসির কৌঁসুলি দল। গতকাল বুধবার কক্সবাজার সফর শেষে আইসিসির কৌঁসুুলি করিম এ এ খান এক বার্তায় দ্য হেগে আইসিসির প্রাক-বিচারিক আদালত-১-এ ওই আবেদন জানানোর কথা ঘোষণা করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরপর বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে আইসিসির কৌঁসুলির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইসা এমবাই ফাল ওই বার্তা পড়ে শোনান। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে যেকোনো কারিগরি সহযোগিতা দিতে আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর প্রস্তুত আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইসিসির কৌঁসুলি বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের সহিংসতা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অভিবাসনের সময় সংঘটিত কথিত অপরাধের বিষয়টি তার দপ্তর ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে তদন্ত করছে। বিশদ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের পর আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে যে রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন অং হ্লাইংয়ের আছে। আর বিষয়টি বিশ্বাস করার মতো যৌক্তিক কারণ আছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন ও নির্বাসনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করছে আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর। ওই অপরাধগুলো মায়ানমারে ও কিছু অংশ বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার দপ্তর অভিযোগ করেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর মায়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাওয়ের অপরাধগুলোকে জাতীয় পুলিশ, সীমান্তরক্ষী পুলিশ এবং সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা নয় এমন বেসামরিক ব্যক্তিরা সমর্থন করেছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করিম এ এ খান বলেন, মায়ানমারের উচ্চ পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এটিই তার দপ্তরের প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের আরো আবেদন করা হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, মায়ানমার আইসিসির রোম সংবিধির সদস্য নয়। তাই দেশটি তার ওপর আইসিসির বিচারিক এখতিয়ার নাকচ করে আসছে। তবে বাংলাদেশ আইসিসির রোম সংবিধির সদস্য। তাই এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর আইসিসির বিচারিক এখতিয়ার আছে। কোন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং এতে সম্ভাব্য অপরাধগুলো খতিয়ে দেখতে আইসিসির কৌঁসুলির দপ্তর এ বিষয়ে অনুসন্ধানের আবেদন করেছিল। পরে আইসিসির প্রাক-বিচারিক আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এ বিষয়ে কৌঁসুলির দপ্তর অনুসন্ধান শুরু করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইসিসিতে ব্যক্তিবিশেষের ফৌজদারি অপরাধের বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা জেনোসাইডের অভিযোগে রাষ্ট্র হিসেবে ময়ানমারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। দুটি প্রক্রিয়াতেই বাংলাদেশ সম্পৃক্ত আছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে ক্ষমতা নেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এরপর তিনি মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।</span></span></span></span></span></p>