<p>‘এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি। রক্ত দিয়েছি, আরো রক্ত দেব। যারা আন্দোলনে গিয়েছিলেন তারা কোথাও চাঁদাবাজি করতে যায়নি, তারা কখনো টেন্ডারবাজি করে না। আমাদের বিজয়ে সেলফি তুলে যারা চলে গিয়েছিল তারা এখন সুবিধা ভোগ করছে।’</p> <p>এভাবেই জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় পরবর্তী অবস্থা তুলে ধরেছেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র প্রতিনিধি এবং শহীদ হওয়া বীর ও আহত হওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।</p> <p>বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্মরণ সভায় এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়। স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, প্রশাসনে এখনো হাসিনা সরকারের দোসররা বসে আছেন। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদের চিহ্নিত করা দরকার। </p> <p>তারা গণ-আন্দোলনের চেতনা থেকে সরে না যাওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান।</p> <p>জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা নূর আহমেদ আনোয়ারী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা জামায়াত সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, কক্সবাজার শহর জামায়াত আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুখ, কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ প্রমুখ।</p> <p>এ ছাড়াও বক্তব্য দেন ছাত্র সমন্বয়ক শহিদুল ওয়াহেদ সাহেদ ও রবিউল হোসেন, হোসেন মো. সাজ্জাদ, নাসিমা আকতার পিংকি, জান্নাতুল তানিম রাইসা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, একরামুল হক, খালেদ বিন সাঈদ, সাহেদ মো. লাদেন, সাজ্জাদ হোসেন, ফাহমিদা হাসান হেবা, হাবিব উল্লাহ মেজবাহ, দীল মোহাম্মদ, শহীদ আহসান হাবিবের ছোট ভাই মোহাম্মদ রায়হান, শহীদ নুরুল আমিনের ভাই মোসলেম উদ্দিন, শহীদ তানভীর সিদ্দিকীর বাবা বাদশা মিয়া প্রমুখ।</p> <p>পরে আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মাহফিল করা হয়। এই স্মরণ সভায় চারজন শহীদের পরিবার ও ১৬ জন আহত আন্দোলনকারীকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। </p>