<p style="text-align:justify">ভারতীয় পর্যটকদের ভিসার আবেদন গণহারে বাতিল করে দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নতুন করে আরোপিত কঠোর নীতিমালার কারণে দিনে ৫ থেকে ৬ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।  </p> <p style="text-align:justify">কদিন আগেও ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা বাতিলের হার ছিল মাত্র ১-২ শতাংশ। নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর ভিসা বাতিলের হার ৫-৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় ট্রাভেল এজেন্টরা বলছেন, কঠোর নীতিমালার কারণে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি থাকার পরেও অনেক ভিসা আবেদন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।  </p> <p style="text-align:justify">সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সম্প্রতি পর্যটক ভিসার ক্ষেত্রে নতুন এবং কঠোর নিয়ম চালু করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীদের হোটেল বুকিং ও ফিরতি টিকিট জমা দিতে হবে। যারা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে থাকবেন, তাদের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী আত্মীয়ের বাসস্থান সংক্রান্ত প্রমাণপত্র দাখিল করাও বাধ্যতামূলক।</p> <p style="text-align:justify">পাসিও ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নিখিল কুমার এ বিষয়ে বলেন, ফ্লাইট টিকিট ও হোটেল বুকিং সংক্রান্ত নথি সংযুক্ত করার পরও ভিসা আবেদন বাতিল করা হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরও জানান, যেসব ক্ষেত্রে পর্যটকরা আত্মীয়দের সঙ্গে থাকবেন, সেখানেও আমন্ত্রণকারীর ভাড়ার চুক্তি, আমিরাত আইডি, রেসিডেন্স ভিসার কপি এবং যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পরও ভিসা বাতিল হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">ভিসা বাতিল হওয়ায় পর্যটকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু ভিসা ফি নয়, আগে থেকে বুক করা বিমান টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের টাকা ফেরত না পাওয়ার কারণে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।</p> <p style="text-align:justify">এমন সময়ে পুনে ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিলেশ ভানসালি পর্যটকদের টিকিট বা হোটেল বুকিং ভুয়া কাগজ জমা না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, দুবাইয়ের নিয়ম অত্যন্ত কঠোর। একটি প্রত্যাখ্যান ভবিষ্যতে আজীবনের জন্য ভ্রমণ জটিলতা তৈরি করতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।</p>