বগুড়ার শেরপুরে জমিসংক্রান্ত মামলায় পরাজিত হয়ে কলেজ শিক্ষকের বসতবাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনার পর শিক্ষক পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে শেরপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষক ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ এই অভিযোগ করেন। তিনি শেরপুর উপজেলার ছোনকা রহিমা নওশের আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এবং পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুরপাড়ার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ বলেন, তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা পারভীন ২০১৮ সালে হাজীপুর মৌজায় তিন শতক জমি ক্রয় করেন। জমির দলিলের বিবরণ অনুযায়ী, জেএল নম্বর ১২২, সাবেক এমআর খতিয়ান নম্বর ১৪, দাগ নম্বর ২০৫/৩৫২ এবং ডিপি নম্বর ৮০। দলিল নম্বর ছিল ৪১৬৯।
তিনি জানান, কম দামে জমি কেনার ষড়যন্ত্রে প্রতিপক্ষ আখতারুজ্জামান পল্টু ও তার স্ত্রী রোজিনা খাতুন আদালতে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর ২০১৮ সালে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে তারা আপিল করলেও গত ১২ সেপ্টেম্বর সেই আপিলও খারিজ হয়। মামলায় পরাজিত হওয়ার পর থেকে আখতারুজ্জামান পল্টু ও তার স্ত্রী আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
শিক্ষক ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৬ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। বসতবাড়ির প্রাচীর ভেঙে দখলের চেষ্টা করা হয়। এমনকি তাদের বসতবাড়িতে বোমা মেরে পরিবারের সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বাড়িতে মাদকসহ অবৈধ মালামাল রেখে তাকে ফাঁসানোর চক্রান্তও চলছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি নিজে ও পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান পল্টুর বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।