<p>বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি তো মামুবাড়িতে আছেন। রিপাবলিক টিভিকে বলুন, কুৎসা রটিয়ে এই দেশে রায়ট (সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা) হয়নি, হবেও না। আমরা হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি ভাইয়ের মতো বসবাস করি। মায়ের কোলে শিশু যেমন নিরাপদ, আমরা সংখ্যালঘুদের সেভাবে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছি।’</p> <p>বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) যশোরের মুন্সী মেহেরুল্লাহ ময়দানে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আগামী নির্বাচন কঠিন হবে : তারেক রহমান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/18/1734524366-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আগামী নির্বাচন কঠিন হবে : তারেক রহমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/18/1458835" target="_blank"> </a></div> </div> <p>টুকু বলেন, ‘একাত্তরে যুদ্ধ করলাম আমরা, আর ক্রেডিট নেয় ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বললেন, এটা নাকি তাদের বিজয়। জেনারেল নিয়াজি যেদিন ভারতীয় সেনানায়কদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন, সেদিনই আমাদের বিজয় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সংগ্রামে এদেশের হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। অবশেষে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে এদেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশের সব গাছের পাতাও আওয়ামী লীগ ছিল। এখন কোথাও আওয়ামী লীগ নেই। তাদের চরিত্রই হলো পালানোর। লেজ তুলে পালিয়ে তারা মামুবাড়িতে চলে যায়।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/18/1734524306-75f65f236a823e153c5ef76c9d45441e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সারা দেশে ‘জয় বাংলা কিলিং মিশন’ গঠনের প্রস্তাব, ভিডিও ভাইরাল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/12/18/1458834" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পূর্ববর্তী উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ঢাকা শহরের সব গাছের পাতা বাকশাল ছিল। পরদিন থেকে কোথাও বাকশালিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর আগে একাত্তরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত সবাই ছিল শেখ মুজিবের লোক। মুজিব আত্মসমর্পণ করেছেন, নেতারা সব থিয়েটার রোডে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।’</p> <p>একাত্তরের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি’ দাবি করে এই মুক্তিযোদ্ধা নেতা বলেন, ‘‘আমি মানি ৭ মার্চে উনি (শেখ মুজিবুর রহমান) জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভাষণ শেষ করেছিলেন, ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে। উনি যদি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন তাহলে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতেন না। সেই কারণে ৭ মার্চের পর কেউ যুদ্ধে নামেনি।”</p> <p>স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে শেখ মুজিব ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠকে বসতেন না। ভুট্টোর সঙ্গে বসতেন না। উনি কীসের আলোচনা করছিলেন? নিশ্চয় তা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আলোচনা ছিল। জনগণ এসব ঠিকই বুঝেছিল। তারা জানতো, তাজউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ নেতারা টেপরেকর্ডার নিয়ে গেলেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করেননি। বলেছিলেন, ‘এই রেকর্ড আমাকে ফাঁসিতে ঝুলাবে’।</p> <p>জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার ডাকেই মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এই দেশ জিয়া পরিবারের হাতেই নিরাপদ। ভবিষ্যতেও জিয়া পরিবারই এই দেশের নেতৃত্ব দেবে।</p> <p>দলীয় নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘সাবধান, কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না। মানুষের কাছে যান। তাদের মন জয় করুন। তারাই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে। ছয় মাস পর কিছু আওয়ামী লীগার ভেসে আসবে। কোনোমতেই তাদেরকে দলে জায়গা দেওয়া যাবে না। তারা বিএনপির শত্রু, দেশের শত্রু।’</p> <p>আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি প্রমুখ।</p>