<p>বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, একজন সিনিয়র রুশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার মার্কিন সম্প্রচারক এনবিসিকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় অবস্থান করছে। মস্কো আসাদের অবস্থান সম্পর্কে এই প্রথম জনসাধারণকে জানাল। </p> <p>রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ মঙ্গলবার এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকারে জানান, ‘বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।’</p> <p>এর আগে ক্রেমলিন প্রাথমিকভাবে আল-আসাদকে দেশে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিল। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মস্কো দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে।</p> <p>রায়াবকভ রাশিয়ায় আল-আসাদ ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তার বিশদ বিবরণ দেননি। তিনি বলেন, ‘এখন তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটছে তা আমি জানি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘কী ঘটেছে এবং কীভাবে এর সমাধান করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’</p> <p>সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়া এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাসহ অভিযোগের কারণে বাশার আল–আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ–সংক্রান্ত সনদের অংশীজন নয় রাশিয়া।’</p> <p>সমালোচকদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এবং রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করাসহ সিরিয়ায় গত রবিবার বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওই দিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।</p> <p>রাশিয়া সিরিয়ায় একটি নৌ ও বিমান ঘাঁটি এখনও নিয়ন্ত্রণে রেখেছে, যদিও আল-আসাদের পতনের পর তাদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।</p> <p>গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১১ সালে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দমনে বাশার আল-আসাদ সহিংসতার পথ বেছে নেন। এর জেরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পাঁচ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অর্ধেক জনগণ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ বিদেশে আশ্রয় পেয়েছিল।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>