<p>শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি আমারাসুরিয়াকে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে। আজ সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন দিশানায়েকে। তিনি নতুন কোনো অর্থমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি। তবে তিনি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার পর অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনি নিজে যেভাবে পরিচালনা করেছেন সেভাবেই পরিচালনা করবেন। </p> <p>দিশানায়েকে প্রধানমন্ত্রী পদে আমারাসুরিয়াকে নির্বাচিত করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেন হেরাথকে। নতুন সরকারে তিনি তাদেরকেই পুনর্বহাল করেন। ২০২৪ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমারাসুরিয়া। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিশানায়েকে জয়ী হন। এরপর আমারাসুরিয়াকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছিলেন। </p> <p>সেপ্টেম্বরে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন দিশানায়েকে, তখন দেশটির পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট এনপিপির আসন ছিল মাত্র তিনটি। পার্লামেন্টে নিজ জোটের আসনসংখ্যা বাড়াতে তিনি আগাম নির্বাচন দেন। এখন তার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল। গত ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে তার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে ২২৯ আসনের মধ্যে অনূঢ়ার বামপন্থী জোট ১৫৯টি আসন পেয়েছে। </p> <p>২২ মিলিয়ন জনগণের দেশ শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকটে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র ঘাটতির কারণে দেশটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট দেশটিকে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে ফেলেছিল, ফলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে পদত্যাগ করতে হয়।  </p> <p>সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লড়াই করছে দেশটি। দেশের ২৫.৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে, যা গত চার বছরে বেড়েছে। এর আগে রাজাপক্ষের উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করলেও অর্থনৈতিক সংকট এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।</p> <p>সূত্র: রয়টার্স</p>