<p>আগামী দশকে চীনের জনসংখ্যা ৫১ মিলিয়ন কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার আকারের চেয়ে বেশি। ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স তাদের প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। দেশটির নীতিনির্ধারকরা বর্তমানে ক্রমহ্রাসমান জন্মহারকে উল্টে দিতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। </p> <p>ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা ১.৩৬ বিলিয়নে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের বিশ্লেষক অ্যাডা লি অনুমান করছেন, যা ২০১২ সাল থেকে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। ২০২১ সালে জনসংখ্যা ১.৪১ বিলিয়ন থেকে নেমে এসেছে। </p> <p>লি বলেন, ২০২৪ সালে শিশু জন্মের সংখ্যা অস্থায়ীভাবে বাড়তে পারে। কারণ, বছরটিকে সন্তান ধারণের জন্য শুভ সময় বলে মনে করা হয়। কিন্তু জন্মহারের গত এক বছরের উত্থান অল্প সময় স্থায়ী ছিল এবং এই বছরটি ব্যতিক্রম না-ও হতে পারে। বিশেষ করে, বিবাহের হার সর্বকালের সর্বনিম্নে চলে এসেছে। </p> <p>চীন বর্তমানে একটি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। জাতিসংঘের অনুমান, ২১০০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বর্তমান জনসংখ্যার চেয়ে অর্ধেক হয়ে যেতে পারে। কয়েক দশকের বিধি-নিষেধমূলক পরিবার গঠন নীতি, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং পরিবর্তনশীল সামাজিক নিয়ম-কানুনের কারণে নারীরা সন্তান জন্ম কমিয়ে দিয়েছে। কর্মশক্তি কমে যাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যা অর্থনীতি, পেনশনব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।</p> <p>লি সোমবার একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘নীতিনির্ধারকরা সম্ভবত সংস্কারের গতি বাড়াতে পারেন, এর মধ্যে প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য-পরিষেবা উন্নত করা এবং শিশুদের লালন-পালন সাশ্রয়ী করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।’</p> <p>সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং তাদের সন্তান জন্মদান নীতিতে আমূল পরিবর্তন করেছে। চীন ২০১৬ সালে এক-সন্তান নীতির সমাপ্তি ঘটিয়ে দুই-সন্তান নীতি দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছিল। এরপর ২০২১ সালে তিনটি সন্তান নেওয়ার বিষয়ে প্রচার শুরু হয়।</p> <p>কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় কর্মকর্তারা পরিবারের জন্য নগদ অর্থ, বর্ধিত মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীদের সঙ্গে জন্মদানের বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা চালু করেছেন।</p> <p>ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা জন্মের দ্বিগুণ হবে। বার্ধক্য নির্ভরতার অনুপাত ৫২ শতাংশে পৌঁছতে পারে, যার অর্থ ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতিটি ব্যক্তির জন্য মাত্র দুজন কর্মজীবী ব্যক্তি থাকবে। </p> <p>সূত্র : ব্লুমবার্গ</p>