<p>বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরে হামলার জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় উত্তেজনা আরো বাড়বে। ক্রেমলিন সোমবার এমন মন্তব্য করেছে বলে এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।</p> <p>ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখেছেন, বাইডেন এ ধরনের হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, ওয়াশিংটনের বিদায়ি প্রশাসন উত্তেজনার আগুন জ্বালিয়ে রাখা এবং আরো উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ নিতে চায়।’</p> <p>এ ছাড়া পরিচয় না প্রকাশের শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা এএফপিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। এই বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন ইউক্রেনের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সাহায্য করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।</p> <p>ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বহুদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে শক্তিশালী আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার অনুমোদনের দাবি জানিয়ে আসছেন।</p> <p>পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি সত্যিই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে ও তা কিয়েভের প্রশাসনকে জানানো হয়ে থাকে, তবে এটি উত্তেজনার একটি নতুন ধাপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি নতুন পরিস্থিতি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ ন্যাটোকে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে নামিয়ে আনবে। পুতিন সেই সময় আরো বলেছিলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সম্মুখীন হওয়া হুমকির ওপর ভিত্তি করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেব।’</p> <p>পেসকভ সোমবার বলেন, পুতিনের অবস্থান হলো, এ ধরনের হামলা শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন নয়, বরং সেই দেশগুলোই পরিচালনা করবে, যারা এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে। ক্রেমলিন মুখপাত্রের ভাষায়, ‘কারণ লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী নয়, বরং এসব পশ্চিমাদেশের বিশেষজ্ঞরা। এটি তাদের সংঘাতে অংশগ্রহণের ধরনকে মৌলিকভাবে বদলে দেয়। এই পরিস্থিতির বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক দিক এখানেই।’</p>