<p style="text-align:justify">টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাবলু মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর আগে স্বজনদের কাছে হামলাকারীদের নাম বলে গেছেন তিনি। এসংক্রান্ত একটি ভিডিও এ প্রতিনিধির হাতে এসে পৌঁছেছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">নিহত বাবলু মিয়া সখীপুর উপজেলার কালিয়ান মাদরাসাপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। বাবুলের চাচা আব্দুল মালেক মিয়া (মালেক মিলিটারি) তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। </p> <p style="text-align:justify">নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবলু মিয়াকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার গান্দিনাপাড়া বাজারের একটি দোকানের ভেতর কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় স্থানীয়রা গিয়ে বাবলু মিয়ার কাছে জানতে চান- বাবুল ভাই, কারা-কারা কী করছে? তখন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বাবলু তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জানান, ‘কালিয়ানের বাবুলের পোলা (ছেলে) সোহেল, হারুন, গান্ধিনাপাড়ার ওর ভাগ্নেরা পাঁচ-সাতজন ছিল। আমি মনে অয় আর বাঁচমু না।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যুবককে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731926325-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যুবককে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/18/1448012" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ সময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন বাবলুর মৃত্যু হয়। ‌</p> <p style="text-align:justify">বাবলুর চাচা মালেক মিয়া বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে বাবলুর এক প্রতিবেশী তাকে ডেকে নিয়ে গান্দিনাপাড়া বাজারের রাহিনের সিমেন্টের দোকানের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা ওই এলাকার হারুন, সোহেলসহ আরো কয়েকজন বাবলুকে ধাক্কা দিয়ে দোকানের ভেতর ফেলে দেয়। পরে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবলুকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। </p> <p style="text-align:justify">চাচা মালেক মিয়া আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় হারুনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী আমার ভাই (নিহতের বাবা) কামাল হোসেন।’</p> <p style="text-align:justify">কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’</p>