<p>বড় ইনিংস খেলতে পছন্দ করা <strong>অমিত হাসান</strong> কথা বলার ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো। ছোট কথায় উত্তর দিলেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন! বোলাররা অবশ্য তার ব্যাটের ঝাঁজ থেকে ‘বাঁচতে’ পারছেন না। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আরেকটি দারুণ মৌসুম কাটানো ২৩ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার ৬৬১ রান করে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। প্রথমবার তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সিলেট অধিনায়ক মুখোমুখি হয়েছেন <strong>বোরহান জাবেদের</strong></p> <p>প্রশ্ন : প্রথমবার সিলেট জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতল। কেমন লাগছে?</p> <p>অমিত হাসান : প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। সিলেটের মাটিতে আমরা শিরোপা জয়ের উল্লাস করতে পেরেছি, এর চেয়ে বেশি আসলে আর কী চাওয়া যায়? আরেকটা ব্যাপার বেশি ভালো লাগছে, আমার অধিনায়কত্বে সিলেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি নিজেও অধিনায়কত্ব অনেক উপভোগ করেছি!</p> <p>প্রশ্ন : প্রথমবার অধিনায়কত্ব করেছেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে কতটা চ্যালেঞ্জ অনুভব করেছেন?</p> <p>অমিত : আমার জন্য কাজটা অনেক সহজ ছিল। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন আমাদের দলে। বতর্মান জাতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেটারও আছেন। এ জন্য আমাকে কোনো কাজে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। সবাই যার যার জায়গা থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি হয়তো বা বয়সের দিক থেকে দলের সবচেয়ে ছোট (হাসি)। তবু ও রকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। সবাই যার যার কাজটা খুব ভালো বুঝতে পেরেছে।</p> <p>প্রশ্ন : বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে আপনার রেকর্ড বেশ ভালো। ব্যক্তিগতভাবে এই সংস্করণের খেলাটাই কি বেশি পছন্দ করেন?</p> <p>অমিত : ওয়ানডে সংস্করণও আমি পছন্দ করি। তবে টেস্ট ক্রিকেটটা আমি অনেক বেশি উপভোগ করি। আবহটা আমার ভালো লাগে। ধৈর্যের একটা বড় পরীক্ষা হয় এখানে।</p> <p>প্রশ্ন : নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে আপনার মানসিক দৃঢ়তা অনেকের নজর কেড়েছে। কিভাবে এটা তৈরি হয়েছে আপনার মধ্যে? </p> <p>অমিত : সত্যি বলতে, আমি বেশি কিছু চিন্তা করি না। আমার সহজাত ব্যাটিংটাই করার চেষ্টা করি। প্রক্রিয়ায় থাকার চেষ্টা করি।</p> <p>প্রশ্ন : এই মৌসুমে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির গল্পটা একটু শুনতে চাই।</p> <p>অমিত : এর আগে একবার ১৮৬ রানে আউট হয়েছিলাম। তাই ডাবল সেঞ্চুরির একটা আক্ষেপ ছিল। এবার যখন ১০০ করি তখন থেকেই ইনিংস আরো বড় করার কথা ভাবছিলাম। পরদিন ১৫০ হওয়ার পর মাথায় আসছিল ২০০ করার বড় একটা সুযোগ আছে। আমি এই সুযোগটাই নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারায় ভালো লেগেছে! </p> <p>প্রশ্ন : বাংলাদেশের ব্যাটারদের ইনিংস বড় করার ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি দেখা যায়। সেখানে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে আপনার ১০টি ফিফটির পিঠে ৯টি সেঞ্চুরি...</p> <p>অমিত : ইনিংস বড় করার ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি যখন ৫০ করি, তখন চিন্তা করি যে আরেকটা ৫০ কিভাবে করা যায়। শুরু থেকে বেশি লম্বা চিন্তা করি না যে ১০০ করতে হবে।</p> <p>প্রশ্ন : এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে আপনাকে স্কোয়াডে নেওয়ার আলোচনা শোনা গিয়েছিল। যদিও পরে নির্বাচক হান্নান সরকার জানান, জাতীয় দলের আশপাশের ধাপগুলোর বাধা পেরোতে হবে। নিজের কাছে কতটা প্রস্তুত মনে হয় বড় মঞ্চের জন্য?</p> <p>অমিত :  এ বিষয়ে আমার এখন বেশি কথা বলা উচিত হবে না। নির্বাচকরা আছেন, তারা যেটা ভালো করেন, তা করবেন। উনারা যখন প্রস্তুত মনে করবেন, তখন ডাকবেন।</p> <p>প্রশ্ন : ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা বেশির ভাগ তরুণ ব্যাটাররা জাতীয় দলে গিয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছেন না। নিজেকে আপনি কিভাবে তৈরি করছেন?</p> <p>অমিত : আমরা সাধারণত এনসিএল, বিসিএল, লিস্ট ‘এ’—এগুলোই খেলি। এর বাইরে এইচপি আর ‘এ’ দলের সফর হয়। এসব দিয়েই যতটুকু নিজের উন্নতি করা যায়। এসব জায়গায় যদি সুযোগ আসে, আমি চাইব ভালোভাবে কাজে লাগাতে, যাতে ভবিষ্যতে জাতীয় দলে সুযোগ পেলে লম্বা সময় খেলতে পারি। </p> <p>প্রশ্ন : আর একটা ম্যাচ বাকি। মৌসুমটা কিভাবে শেষ করতে চান?</p> <p>অমিত : চেষ্টা থাকবে যেভাবে শুরু করেছিলাম, শেষটা যেন সেভাবেই রাঙাতে পারি। দল হিসেবে আমরা যেন অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।</p>