<p>চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও আদালতে কর্মবিরতি ছিল। টানা দুই দিন ধরে আইনজীবীদের এই কর্মবিরতিতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দিনভর আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। সহকর্মী হত্যার প্রতিবাদে এসব কর্মসূচিতে অবিলম্বে আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। </p> <p>এ দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে ঘিরে গত মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণের ঘটনা ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732793569-de2d631cf64ae96008bc39b9fe6bc5f9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/28/1451636" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আলিফ হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। পদত্যাগ না করলে টেনে হিঁচড়ে নামানোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আইনজীবী নেতা নাজিম। </p> <p>পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চিন্ময় দাসের হাতে হ্যান্ডমাইক কিভাবে গেল এর জবাব দিতে হবে। নাহলে পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম থাকতে পারবেন না। আমরা পুলিশ কমিশনারকে চাই না। জুলাই এ অনেক রক্ত গিয়েছে। অনেকে শহীদ হয়েছে। তাঁদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা যাবে না। আমরা সব জানি, চিনি। পুলিশ প্রশাসন এখনো বসে আছে। আপনাদের হুঁশিয়ার করছি, আপনারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন। তা না হলে আমরা গিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে ফেলব।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, এখন দেশ গঠনের পালা : তারেক রহমান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732795103-96c53b5db1ed42af5fd19985f1dc404c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, এখন দেশ গঠনের পালা : তারেক রহমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/28/1451642" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, ‘আজ অত্যন্ত শোকাহত এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত আমরা। একটি কঠিন সময়ের মধ্যে আছি। আমাদের চট্টগ্রামের আদালত অঙ্গন ও আশেপাশে এই ধরনের ঘটনা আগে হয়নি। গত পরশু (গত মঙ্গলবার) ইসকনের এক সন্ত্রাসী নেতাকে গ্রেপ্তার করে তাঁকে আদালতে তোলার পর বিজ্ঞ আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন এবং প্রিজন ভ্যানে তোলা হল। আমরা পরবর্তীতে দেখলাম তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। ওই প্রিজন ভ্যানে তোলার পর ইসকন সমর্থিত সন্ত্রাসীরা ভ্যান ঘেরাও করে আদালত অঙ্গনে উল্লাস করেছে। আমরা পুলিশকে দেখেছিলাম নিস্ত্রিয়। তাঁরা নিরাপদ স্থানে দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। এটার পেছনে পুলিশের ইন্ধন আছে বলে আমরা মনে করি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, পুলিশ প্রিজন ভ্যান ফেলে সেখান থেকে চলে গেছে। আমি পত্রিকায় দেখেছি এই চিন্ময় দাস প্রিজন ভ্যান থেকে হ্যান্ডমাইক দিয়ে বক্তব্য দিয়েছে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি অনুরোধ করবো যতগুলো মামলা হবে এই চিন্ময় দাসকে যেন এক নম্বর আসামি করা হয়। যদি তাঁকে আসামি না করা হয় আমরা মানব না। আলিফকে যেদিন হত্যা করা হচ্ছে এই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মি, বিজিবি ছিল। তাঁদেরকে কেন ডাকা হয়নি?</p> <p>আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ‘ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে মানববন্ধনে জেলা আইনজীবী সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, নিপীড়ন বিরোধী আইনজীবী সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরাও অংশ নেন।</p> <p>ওই মানববন্ধনে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহাদ মুস্তফা বলেন, ‘কেন প্রশাসন ওইদিন নিশ্চুপ ছিল আমি জানি না। কেন আমার ভাইকে সেদিন টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে একটা সন্ত্রাসী দলের জন্য আমি জানি না। আমার একটাই প্রতিজ্ঞা, আমি ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার এই ভাইয়ের খুনীর শাস্তির দাবি জানাই। আমার অ্যালামনাই থেকে আমাদের প্রিমিয়ারের কোনো ভাই খুনীদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দিবে না।'</p> <p>মানবন্ধনের একপর্যায়ে উপস্থিত আইনজীবীরা আগামী ৩ ডিসেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে হওয়া মামলার শুনানি না করার দাবি জানান। আইনজীবী নেতারা এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আদালত চত্বর হয়ে লালদিঘী মোড় ঘুরে আবার আদালত চত্বরে এসে শেষ হয়।</p>