<p>ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে আবাসিক ভবন, সরকারি সুবিধা এবং অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে একই পরিবারের অন্তত ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছে। </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলার সময় বাড়ির ভেতরে প্রচুর বেসামরিক লোক ছিল। আলজাজিরার প্রতিবেদক মাহামুদ জানান, আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করার জন্যই এই আক্রমণগুলো পরিচালনা করা হয় ... ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এসব ভবন পর্যবেক্ষণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’</p> <p>উত্তর গাজায়ও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালিয়েছে। বেইত লাহিয়া শহরের অবশিষ্ট আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে এসব হামলা করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে মাহমুদ জানিয়েছেন।</p> <p>এদিকে ওয়াফা নিউজ এজেন্সি অনুসারে, একটি শিবিরের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় চারজন ফিলিস্তিনি বৃহস্পতিবার সকালে নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি। </p> <p>জাতিসংঘ এই মাসের শুরুতে বলেছে, গাজায় নিহতদের ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু। এদিকে ইউএন এজেন্সি ফর ফিলিস্তিনি শরণার্থী (ইউএনআরডাব্লিউএ) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অক্টোবরের শুরু থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে উত্তর গাজায় সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের ৯১টি ত্রাণ সহায়তার মধ্যে মধ্যে ৮২টিকে প্রবেশ করতে দেয়নি।</p> <p>৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি সামরিক অবরোধ এবং ক্রমাগত বোমাবর্ষণের শিকার অঞ্চলটির উত্তরে মানবিক সরবরাহ প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরায়েল আরো ৯টি ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিয়েছে। </p> <p>বৃহস্পতিবার ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, ‘সেখানে থাকার আনুমানিক ৬৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার মানুষের বেঁচে থাকার আশা কমে যাচ্ছে।’ ২০২৩ সাল থেকে কমপক্ষে ৪৪ হাজার ২৮২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন আহত হয়েছে। গাজায় এখন পর্যন্ত একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর কোনো চুক্তির অগ্রগতি হয়নি।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>