<p>খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১২ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় বাধা প্রদান, অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়া, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন ও সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষক, ৬ জন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী। </p> <p>গত ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732793569-de2d631cf64ae96008bc39b9fe6bc5f9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/28/1451636" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বরখাস্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এ ছাড়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, মেকানিক্যাল বিভাগের প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেবাশীষ মণ্ডল, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পট্রোলার জি এম আবু সাঈদ, সহকারী প্রগ্রামার মো. ওমর ফারুক, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মো. মেহেদী হাসান রাজন ও অফিস সহায়ক সত্যজিৎ কুমার দত্ত।</p> <p>কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় বাধা প্রদান, অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়া, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন ও সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা (বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৩ এর ৪৪ (৫) ধারা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।</p> <p>এ বিষয়ে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তরা সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই সিন্ডিকেট সভায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।</p>