<p>চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমানত গাজী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনার দুই দিন পার হলেও দলীয়ভাবে নিন্দা জানানো ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সতীর্থদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি নেতা আমানত গাজী থানায় অভিযোগও দেননি।</p> <p>দলীয় একটি পক্ষ ওই হামলার আগে তাকে ধাওয়া দেওয়া ও ফরিদগঞ্জ বাজারে তাকে কটাক্ষ করে মিছিল হয়েছে। আমানত গাজীর ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির উপজেলা সভাপতি এম এ হান্নান কেবলমাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনার শিকার আমানত গাজী বলেছেন, হামলাকারীরা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ট। হামলা ও মারধরের এমন ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে। এতে, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত আনুমানিক ৯টা। আমানত গাজী বাজারে হাঁটছিলেন। ওই সময় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ, লাঠিপেটা করে ও কিলঘুষি মারে। আশপাশে থাকা লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পর তিনি চলে যান। এর আগে ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে আমানত গাজীকে ধাওয়া দেওয়া হয়। তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। </p> <p>ধাওয়াকারীদের অভিযোগ, আমানত গাজী আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছেন। ২৪ আক্টোবর আমানত গাজীর নাম তুলে লাঠিসোটা হাতে ফরিদগঞ্জ বাজারে মিছিল করা হয়। সোমবার রাত ৯টার দিকে বাজারের কেরোয়া মোড়ে হামলা ও মারধরের শিকার হন তিনি। </p> <p>এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় আমানত গাজীর সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। এখন বিএনপি সেজেছে। তিনি বলেন, বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নানের নির্দেশে আমি চেয়ারম্যানদের নিরাপদে যেতে সাহায্য করেছি। তার ওপর হামলার জন্য মোশারফ হোসেন ও রাশেদকে দায়ী করে বলেন, তাদের সঙ্গে রাজু পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন। </p> <p>অপরদিকে, মোবাইল ফোনে কথা হয় রাশেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমানত গাজীর ওপর হামলা কে করেছে আমি জানি না। আমরা ডাকচিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখেছি। তিনি দাবি করে বলেন, ২২ অক্টোবর ইউএনও অফিসে মোশারফের ওপর হামলা করেছে আমানত গাজী। তিনি আর কোনো বক্তব্য দেননি। রাজু পাটোয়ারী বলেছেন, বিএনপি নেতা আমানত গাজীর ওপর হামলার খবর শুনে আমি ছুটে গিয়ে তাকে রক্ষা করেছি। হামলাকারীদের চর-থাপ্পড় দিয়েছি। আমি হামলার সঙ্গে জড়িত নই। </p> <p>এদিকে, মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বিএনপির উপজেলা সভাপতি এম এ হান্নান বলেছেন, বিএনপি থেকে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আছে কারো ওপর হামলা, মারধর করা যাবে না। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের আহ্বানে সভায় গিয়েছে। সেখানে তাদের ওপর হামলা চেষ্টার খবর শুনে আমি আমানত গাজীকে নিজেই বলেছিলাম চেয়ারম্যানদের নিরাপত্তা দিতে। তিনি আরো বলেন, ওই হামলাকারীরা বিএনপির কেউ নয়। তারা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও হাঙ্গামা করেছে। আমানত গাজীর ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।</p> <p>এদিকে, ফরিদগঞ্জ থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার বলেছেন, এ রকম কোনো অভিযোগও পাইনি, হামলার খবরও জানি না। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকে গত দুই দিন ধরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ফলে নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।  </p>