<p>এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করেও লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল আমাকে। বাবা মারা গেছেন। মা বাড়ি বাড়ি চেপা শুঁটকি বিক্রি করেন। অনেক কষ্ট করে অন্যের বাড়িতে কাজ করে মা এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে নিয়েছিলেন। তারপর মা বললেন, এত কষ্ট করে আর লেখাপড়া চালাতে পারবেন না। আমার ভাইও নেই যে সাহায্য করবে। আমার খুব ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া করে একদিন সফল হবো এবং মায়ের কষ্ট দূর করব। সেদিন মায়ের কথায় অনেক কেঁদেছিলাম। আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে অনেক দোয়া করেছি। আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানকে আমার সহায়তার জন্য ঠিক করে দিয়েছেন।</p> <p>এসএসসির পর থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ আমার লেখাপড়ার সব দায়িত্ব নিয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ নিয়মিত আমার খোঁজ নিত। তাদের সহায়তায় আমি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পেরেছি। এইচএসসিতেও ভালো ফল করেছি। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আশা করছি, আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় পাশে থাকবে। আমার মতো দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার জন্য, গরিব মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অসংখ্য ধন্যবাদ। -আলপিনা আক্তার</p> <p>প্রসঙ্গত, দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখায় অসামান্য সফলতা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় ২০২২ সালে সফলতার সঙ্গে এসএসসি পাস করা শতাধিক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশের বৃহত্তম শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবরগুলো দেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।</p>