<p>নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কুড়িল-কাঞ্চন সড়কের পাশ থেকে উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের ৭ টুকরা মরদেহের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতের অভিযোগে রুমা আক্তার (২৮) নামের একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। </p> <p>বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার এই তথ্য জানান। </p> <p>গ্রেপ্তার রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরিপুরের মো. নজর আলী মেয়ে। </p> <p>ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার মৃত হাজী আলেক চান বেপারীর ছেলে। তিনি রাজধানীর ভাটারা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। ফতুল্লার চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি।</p> <p>এর আগে গত বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের একটি লেক থেকে তিনটি পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো একজনের সাত টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পূর্বাচলে উদ্ধার হওয়া ৭ টুকরা লাশটি ডায়িং ব্যবসায়ীর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731574238-392d3c624b81a4ca3ab17fa45a0e7d5c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পূর্বাচলে উদ্ধার হওয়া ৭ টুকরা লাশটি ডায়িং ব্যবসায়ীর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/14/1446541" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘গত ১০ নভেম্বর বিকেল থেকেই জসিম উদ্দিন নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গুলশান থানার একটি জিডির সূত্র ধরে আমরা এই ভুক্তভোগীর পরিচয় জানতে পারি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পেরেছেন, অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গ্রেপ্তার রুমার সঙ্গে ব্যবসায়ী জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর পাশাপাশি এই জসিম অন্য নারীর সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, আরেকটি সম্পর্কের বিষয় জানতে পেরে রুমা রাগে-ক্ষোভে ও আবেগের বশবর্তী হয়ে ১০ নভেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় তাকে হত্যা করেন। মূলত সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে তারা একত্র হতেন। খুন করার আগে ওই নারী প্রথমে তাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ফেলেন। এরপর চাপাতি দিয়ে মরদেহ টুকরা টুকরা করেন। সেই টুকরা অংশ প্রথমে পাঠাও এবং পরে সিএনজি ভাড়া করে এগুলো বিভিন্ন স্থানে ফেলেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নারায়ণগঞ্জে গেঞ্জি কারখানায় আগুন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/08/1731082566-85b6f89b41cae26786ac72365fff771b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নারায়ণগঞ্জে গেঞ্জি কারখানায় আগুন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/08/1444357" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই ঘটনায় রুমা আক্তারকে ঢাকার শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সন্দেহভাজন হিসেবে আরো দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা এই ঘটনায় জড়িত কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা মরদেহের টুকরা ও এই কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি হেসকো ব্লেড এবং ডিস্টিস্টের পরিহিত সাফারি, একজোড়া শু উদ্ধার করেছি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’</p>