<p>সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাবনার চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাককে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার ঘটনার দেড় মাস পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। উল্টো সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখলকারী রবিউল ইসলামকে বৈধতা দিয়ে চলেছেন তারা। এ নিয়ে সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।</p> <p>অথচ গত ৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা অন্যান্য শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ বা হেনস্থা না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পেল সেনা পরিচালক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730987874-8df7b73a7820f4aef47864f2a6c5fccf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পেল সেনা পরিচালক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/07/1443956" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এছাড়া ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (উপ-সচিব) হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এত পরিপত্রে মাদরাসা অধ্যক্ষ বা সুপারের অবর্তমানে প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা সুপার পদে দায়িত্ব প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর চাটমোহর এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাককে মাদরাসা থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। আর তার অপেক্ষাকৃত বয়সে অনেক জুনিয়র শিক্ষক রবিউল করিম বাচ্চু স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ্যের চেয়ার দখল করে বসেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730987663-af6e6b693ed51557729e654e34b27ab5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/07/1443954" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপর ঘটনার বিচার চেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)’র কাছে অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাক। কিন্তু ঘটনার দেড় মাস পার হয়ে গেলেও সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730987164-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/07/1443951" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয় কিছু লোক মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাকের কক্ষে যান। তারা তাকে আওয়ামী লীগের দোসর, দুর্নীতিবাজসহ বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় অপমান করেন। একপর্যায়ে তারা যাকে খুশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানাবেন বলে তাকে চেয়ার ছেড়ে চাবি বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। তিনি তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও শোনেননি। অনেকটা জোর করেই তাকে মাদরাসা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন। পরে তারা মাদরাসা অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। তার কিছু সময় পর মাদরাসা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবিদার একই মাদরাসা সহকারী অধ্যাপক রবিউল করিম বাচ্চুকে ফুলের মালা পরিয়ে চেয়ারে বসিয়ে উল্লাস করেন মাদরাসা কয়েকজন শিক্ষকসহ ওইসব লোকজন। মিষ্টি মুখও করেন তারা। সেইসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে : কারা মহাপরিদর্শক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730987035-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে : কারা মহাপরিদর্শক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/07/1443950" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মাদরাসা সূত্র জানায়, সাত বছর ধরে মাদরাসাটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবু ইসহাক। ২০২৩ সালে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলে তিনি প্রার্থী হন। তখন নিয়োগকালীন সময়ের জন্য সাচিবিক দায়িত্ব পালনে রবিউল করিম বাচ্চুকে দায়িত্ব দেন ম্যানেজিং কমিটি। কিন্তু পরবর্তীতে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও আট মাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ সামলেছেন আবু ইসহাক। এর মধ্যে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুযোগ কাজে লাগাতে রবিউল করিম বাচ্চু মাদরাসার এক শিক্ষকের ইন্ধনে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন ও কতিপয় যুবকদের নিয়ে এসে সন্ত্রাসী কায়দায় চাবি কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক মাদরাসা থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাককে বের করে দেন।</p> <p>ওই সময় মাদরাসা সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবিদার রবিউল করিম বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'নিয়োগকালে ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন করে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে। আবু ইসহাককে বারবার বলার পরও তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। এলাকাবাসী তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু এটা তিনি পারেন কি না, বা আইন সম্মত কি না সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।'</p> <p>অন্যদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ সংক্রান্ত যে সকল কার্যক্রম করা হয় তার মেয়াদকাল থাকে ৬ মাস। ছয় মাস অতিবাহিত হলে নিয়োগ কার্যক্রম পুনরায় করতে হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গণভবন জাদুঘরে শহীদ নাফিজকে বহনকারী সেই রিকশা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730986807-29ae87945c5b840038b2a7ed5ebc9aee.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গণভবন জাদুঘরে শহীদ নাফিজকে বহনকারী সেই রিকশা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/07/1443948" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে, ঘটনার এক মাস ১৭ দিন পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে মাদরাসায় সরেজমিন পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাহফুজা আক্তার। এ সময় চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী সহ সাংবাদিক সুধীজন অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জোর করে পদ দখলকারী রবিউল করিম বাচ্চুকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা জানান এডিসি। কিন্তু আবু ইসহাককে হেনস্থা করে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি বা ব্যবস্থা নেননি। বের হবার সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মন্তব্য না করে চলে যান।</p> <p>এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাহফুজা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে আবারও তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের টেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।</p>