<p>শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে আমদানি করা চার লাখ কেজি কমলা, মাল্টা, ম্যান্ডারিন ও ড্রাগন ফল পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। এর আগে ফলগুলো কয়েকবার নিলামে বিক্রির জন্য ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দর না পওয়ায় আর বিক্রি হয়নি। তাই এসব ফল কনটেইনারে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে যায়। ফলগুলো আগামী ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং পয়েন্টে পুঁতে ফেলা হবে।</p> <p>বুধবার (১৩ নভেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমের মুখপাত্র ও উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইজতেমার কারণে পেছাল ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731502161-c22d81eefcd6841527f7a2eae4de4b0f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইজতেমার কারণে পেছাল ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/11/13/1446236" target="_blank"> </a></div> </div> <p>চট্টগ্রাম কাস্টম সূত্রে জানা যায়, ফলগুলো আমদানি করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। ২১টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ কনটেইনারে করে আনা হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। এসব ফলের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু আমদানিকারকরা এসব ফল নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও বন্দর থেকে খালাস করেননি। আর এসব ফল মামলাসংক্রান্ত জটিলতায় নিলামে ওঠাতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। এর ফলে বেশির ভাগ ফল নষ্ট হয়ে যায়। এর পরও এসব ফল কয়েকবার নিলামে ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু নিলামে অংশগ্রহণকারীরা নষ্ট হয়ে যাওয়া ফলগুলো ক্রয় করেননি।<br />   <br /> চট্টগ্রাম কাস্টম বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, এসব ফল নিলামে ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু নিলামে ওঠানোর আগে বেশির ভাগ ফল কনটেইনারে নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বিডাররা ক্রয় করার আর আগ্রহ দেখাননি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভারতে কিভাবে কেটেছে শেখ হাসিনার ১০০ দিন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731490730-de2d631cf64ae96008bc39b9fe6bc5f9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভারতে কিভাবে কেটেছে শেখ হাসিনার ১০০ দিন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/13/1446164" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, ফল পচনশীল পণ্য হওয়ায় এর গুণগত মান বজায় রাখতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারগুলোকে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখতে হয়। আর এ খাতে লাখ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরও এসব ফল দ্রুত নিলামে ওঠাবে না বন্দর। যদি দ্রুত নিলামে ওঠানো যায়, তাহলে ফলগুলো আর নষ্ট হয় না। দরও ভালো পাওয়া যেত।<br />  <br /> চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, কনটেইনারগুলোতে অন্তত চার লাখ কেজি ফল রয়েছে। এসব ফল পচে গেছে। তাই আগামী ১৮ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে এসব ফল ধ্বংস করা হবে।</p>