<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহীর তানোরের গোল্লাপাড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ উচ্চশিক্ষিত না হলেও একজন স্বশিক্ষিত কৃষক। কৃষিতে অবদান রাখায় তিনি সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফার্মার-সায়েন্টিস্ট কনফারেন্সে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে স্বর্ণপদক পাওয়া তানোরের শ্রেষ্ঠ এই কৃষক দীর্ঘদিন গবেষণা করে উদ্ভাবন করেছেন আউশ, আমন ও বোরো ধানের বিভিন্ন কৌলিক সারি। উদ্ভাবিত সারিগুলোর জীবনকাল অন্যান্য জাতের তুলনায় কম, উচ্চ ফলনশীল ও খরাসহিষ্ণু। চাল সরু ও সুগন্ধিযুক্ত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার গোল্লাপাড়া জমির মাঠে নূর মোহাম্মদ কৃষি পরিষেবা ফার্মে তার গবেষণা প্লটের ২২ জাতের ধানের মধ্যে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নূর ধান-২</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কর্তন করা হয়। এতে হেক্টরপ্রতি ৫.৮ মেট্রিক টন, বিঘাপ্রতি ১৯ মণ, চালে হেক্টরপ্রতি ৩.৮৯ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। এ ধানের জীবনকাল ছিল ১২৫ দিন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধান কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা শামসুদ্দিন মিঞা,  সহকারী আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা আবু সাদাত মোহাম্মদ তোয়াব, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা হুসনা ইয়াসমিন, আবু সালেহ মুহাম্মদ সাত্তাহ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লা আহম্মেদ, সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হান, উপসহকারী কৃষি কর্মমর্তা সাকিব আনসারী প্রমুখ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উদ্ভাবিত এই ধান খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চল ও বিভিন্ন কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে চাষের উপযোগী। তিনি দেশি জাতের উন্নতি ঘটিয়ে ধানের জীবনকাল কমিয়ে এনেছেন। এতে ফসলে পানি কম লাগে। দ্রুত ফলন হওয়ার কারণে এ ধানের সেচের খরচ কম হবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরুর আগেই ধান কেটে ঘরে তোলা যাবে এবং ভালো বাজার মিলবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লা আহম্মেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নূর মোহাম্মদ তানোরের একটি ব্র্যান্ড। তিনি উচ্চশিক্ষিত না হয়েও কৃষির ওপর যে গবেষণা চর্চা করে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন, তা প্রশংসনীয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>